নিজস্ব প্রতিনিধি, শান্তিনিকেতন : কোভিড পরিস্থিতির পর বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় খুললেও ছাত্রাবাস গুলি খোলা হয়নি ৷ ছাত্রাবাস এবং ক্যান্টিন খোলার দাবিতে গত ২৮ শে ফেব্রুয়ারি থেকে বিশ্বভারতীতে আন্দোলন শুরু করে পড়ুয়ারা । এর ৭২ ঘন্টা পর বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হয়।
তবে আদালত জানিয়ে দেয় যে , ছাত্র-ছাত্রীদের আনন্দোলন গণতান্ত্রিক। ছাত্র-ছাত্রীরা শান্তিপূর্ণ আনন্দোলন করতে পারবে এবং দশ দিনের মধ্যে হলফনামা আকারে ছাত্র- ছাত্রীদের দাবি জমা করতে হবে। সেইসব নজর রাখার জন্যে স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। একই সাথে বিশ্বভারতীর কোনো আধিকারীককে অবরুদ্ধ করে রাখা যাবে না বলে জানিয়ে দেয় হাইকোর্ট। সে ব্যাপারে অবশ্য ছাত্র নেতৃত্ব জানিয়ে দেয় যে, ২৪ ঘন্টার পর ,তারা তিন আধিকারীককে মুক্ত করেছে কিন্তু ওই তিন আধিকারিক নিজেদের ইচ্ছায় দপ্তরে কাটিয়েছেন।
এদিকে ৪ ঠা মার্চ হাইকোর্টের নির্দেশ মত বিশ্বভারতীর কর্মসচিব সহ তিন আধিকারিককে উদ্ধার করে শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ। ৪ দিন পর দপ্তর থেকে পুলিশি পাহারায় যখন ওই তিন আধিকারিক বেড়হন ,তখন ‘কবিগুরুর ক্যম্পাসে পুলিশ কেন ডাকা হল’ এই স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ দেখায় পড়ুয়ারা৷
অবশেষে পড়ুয়াদের আন্দলনের ১১ দিনের মাথায় বিশ্বভারতীর পড়ুয়া আন্দোলনে অচল অবস্থার মধ্যেই এবার মুখ খুললেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য অধ্যাপক বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। আজ উপাচার্য বলেন, বিশ্বভারতীতে নোংরা রাজনীতি চলছে। আপামর বাঙালি ও বিশ্ববাসীর কাছে করজোড়ে অনুরোধ বিশ্বভারতী কে বাঁচানোর।
পাশাপাশি তিনি বলেন, আদালতের নির্দেশ থাকলেও আমরা বিশ্বভারতীর প্রধান কার্যালয় সেন্ট্রাল অফিস খুলতে পারছিনা। কারণ, সেন্ট্রাল অফিসের পূর্বদিকে একাউন্টস বিভাগের টাকা জমা দেওয়ার কাউন্টারের ওখানে ত্রিপল টানিয়ে বহিরাগতরা ক্যাম্প করে রয়েছে। বহিরাগত বলতে উপাচার্য বলেছেন তথাকথিত ছাত্রছাত্রীরা।। এমত অবস্থায় অফিস করতে পারছিনা। পাশাপাশি সেন্ট্রাল লাইব্রারি খুলতে পারছিনা। যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।।