কলকাতায় ভোররাত থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে কলকাতাতে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে (Waterlogged)। অবিরাম বৃষ্টিতে কলকাতার একাধিক শহর জলমগ্ন (Waterlogged)। পরিস্থিতি মোকাবিলা করলে কলকাতা পুরসভায় কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছিল। সেই কন্ট্রোলরুমের সামনে জল জমতে (Waterlogged) দেখা গিয়েছে। এই আবহে কর্মী থেকে আধিকারিকরা প্যান্ট গুটিয়ে, জল ডিঙিয়ে অফিসে আসছেন (Waterlogged)।
অন্যদিকে, ভারী বৃষ্টির জেরে কলকাতার একাধিক রাস্তায় জল জমতে দেখা গিয়েছে। সেন্ট্রাল এভিনিউ, ঠনঠনিয়া কালীবাড়ি, কলেজ স্ট্রিট এলাকা জলমগ্ন। কলকাতা কর্পোরেশনের তরফে পাম্প করে জল নামানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। শুক্রবার সকাল থেকে টানা বৃষ্টির জেরে হলদিরামের কাছে ভিআইপি রোডের উপর জল জমেছে।
তবে আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, ভারী বৃষ্টিপাতের জন্য কলকাতার তাপমাত্রা কিছু নিম্নগামী থাকবে। আজ যেখানে কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সেখানেই শনিবার তাপমাত্রা থাকবে ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবার কলকাতার তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে পাঁচ ডিগ্রি কম থাকবে। এদিকে আজ শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি ওপরে। ১১টা থেকে আজ সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত আলিপুরে বৃষ্টি হয়েছিল ১০০.৩ মিলিমিটার। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ৩ ঘণ্টায় আলিপুরে বৃষ্টি হয়েছে ৫৮.৮ মিলিমিটার।
এরপর ২৭ অক্টোবর আকাশ মূলত মেঘলা থাকবে। সঙ্গে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে। ২৮ অক্টোবর কলকাতার আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে। সঙ্গে বজ্রপাতের সম্ভাবনা আছে। তবে বৃষ্টির সম্ভাবনা ক্ষীণ। ২৯, ৩০ এবং ৩১ অক্টোবর কলকাতায় বিক্ষিপ্ত ভাবে হালকা বৃষ্টির ক্ষীণ সম্ভাবনা আছে। প্রসঙ্গত, মৌসম ভবন থেকে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত ১২টা ১০ মিনিটে ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত সেই প্রক্রিয়া চলেছে। সকাল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ মৌসম ভবন জানিয়েছিল, দানা-র টেইল বা লেজের অংশ এখন স্থলভাগে প্রবেশ করছে। ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হতে আরও ঘন্টা দুয়েক লাগবে। এদিকে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে রাত থেকেই ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় বিভিন্ন স্থানে শুরু হয়েছে প্রকৃতির তাণ্ডব। তীব্র ঝোড়ো হাওয়া, সেই সঙ্গে অবিরাম বৃষ্টি।