পাহাড়ে লাগাতার বৃষ্টি শুরু (Weather Update) হয়েছে। আর তার প্রভাবে ব্যাপকভাবে পাহাড় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে(Weather Update)। টানা বৃষ্টির জেরে দার্জিলিংয়ে ভয়বহ ভূমিধসের (Weather Update) খবর পাওয়া গিয়েছে। এদিন বৃষ্টির জেরে(Weather Update) ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক বন্ধ রয়েছে। জানা গিয়েছে, দার্জিলিংয়ে কোনও পর্যটক (Weather Update) আটকে নেই। সকলে নিরাপদে রয়েছেন।
আলিপুর আবহাওয়া অফিস আগেই পূর্বাবাস দিয়েছিল, বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের জেরে উত্তরবঙ্গের পার্বত্য অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। পূর্বাভাসকে সত্যি করে বুধবার থেকে নতুন করে উত্তরবঙ্গের পার্বত্য অঞ্চলে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। প্রবল বৃষ্টির জেরে দার্জিলিং ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বৃষ্টির জেরে ধস তো নেমেছে। রিম্বিক-দার্জিলিংয়ে যাওয়ার রাস্তা বন্ধ। পাশাপাশি অনেক স্কুলও দার্জিলিংয়ে প্রবল বৃষ্টির কারণে বন্ধ রাখা হয়েছে।
দার্জিলিংয়ে ভূমি ধসের কারণে এক বৃদ্ধা মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মৃতের নাম রঘুবীর রাই (৭৮)। দার্জিলিং থেকে ২২ কিমি দূরে বুজুওয়া গ্রামের বাসিন্দা তিনি। বৃহস্পতিবার সকালে তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। সেই সময় আচমকাই ধস নামে। মৃত্যু হয় তাঁর।উল্লেখ্য, গত কয়েক সপ্তাহ আগেই ভয়াবহ গরমে তেতেছিল দার্জিলিং। সেপ্টেম্বর মাসে তাপমাত্রা পৌঁছেছিল ৪০ ছুঁইছুঁই। কার্যত গরমে নাজেহাল অবস্থা হওয়ার জোগাড় ছিল। আর এবার বৃষ্টি হতেই ধসের জেরে সাধারণ মানুষের জীবন বিপর্যস্ত।
তবে উত্তরবঙ্গে মহালয়া থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। যার জেরে উত্তরবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতির নতুন করে অবনতি হতে পারে। উত্তরবঙ্গে তিস্তার জল বাড়ছে। যার জেরে একাধিক অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি দেখতে পাওয়া গিয়েছে। সেন্ট্রাল ফ্লাড কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দুপুর ১২.৩০ মিনিট নাগাদ জলপাইগুড়ির গজলডোবায় তিস্তা ব্যারেজ থেকে ৪৮৭০.০৪ কিউমেক জল ছাড়া হয়েছে। ইতিমধ্যে ধূপগুড়ি মহাকুমার বানাহাট ব্লকের একাধিক জায়গা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। এডিও পুষ্পা লেপচা এলাকা পরিদর্শন করেন। জলমগ্ন একালার বাসিন্দাদের নিরাপদ অঞ্চলে নিয়ে যাওয়ার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশিক জলঢাকা ও তিস্তা নদীর পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোতে মাইকিং শুরু হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের সতর্ক করা হয়েছে। বানারহাটের গয়েকাটার পাশাপাশি বিন্নাগুড়ি এলাকাতেও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিস্তীর্ণ অঞ্চল জলের তলায় চলে গিয়েছে। কিন্তু যে হারে বৃষ্টি হচ্ছে, তাতে পরিস্থিতি আরও ভয়ানক হয়ে উঠতে পারে।