বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠে উচ্চারিত হতে শুরু করেছে আগনীর স্বর (Weather update)। আজ মহালয়া। আজকেই দেবী পক্ষের সূচনা। মহলয়া এসে যাওয়া মানে পুজো এসে যাওয়া। কিন্তু আবহাওয়া রিপোর্ট (Weather update)বলছে মহালয়া থেকেই পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে। মহালয়ার দিন রাজ্যের একাধিক জেলাতে (Weather update)বজ্র বিদ্যুৎ সহ ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কতা রয়েছে। জারি করা হয়েছে (Weather update) হলুদ সতর্কতা।
আবহাওয়া দফতর (Weather update) সূত্রে জানা গিয়েছে, IMD সূত্রে খবর, আগামীকাল মহালয়ার দিন কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, দুই বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়ায় হলুদ সতর্কতা রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের এই ১৫ জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং , জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুরে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। তবে দক্ষিণবঙ্গে বজ্র বিদ্যুতের ঘনঘাটা ঘটলেও ভারী বৃষ্টিপাতের সেরকম কোনও সম্ভাবনা নেই। তবে উত্তরবঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। মহালয়ার দিন দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলাতে হালকা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আকাশ মেঘলা থাকবে। আর্দ্রতা জনিত অস্বস্তি থাকবে। ভ্যাপসা গরমে দক্ষিণবঙ্গবাসীদের অস্বস্তি বাড়বে।
অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গে প্রায় প্রতিটি জেলাতে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এমনিতেই উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি ভয়াবহ। উত্তরবঙ্গে তিস্তার জল বাড়ছে। যার জেরে একাধিক অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি দেখতে পাওয়া গিয়েছে। সেন্ট্রাল ফ্লাড কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দুপুর ১২.৩০ মিনিট নাগাদ জলপাইগুড়ির গজলডোবায় তিস্তা ব্যারেজ থেকে ৪৮৭০.০৪ কিউমেক জল ছাড়া হয়েছে। ইতিমধ্যে ধূপগুড়ি মহাকুমার বানাহাট ব্লকের একাধিক জায়গা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। এডিও পুষ্পা লেপচা এলাকা পরিদর্শন করেন। জলমগ্ন একালার বাসিন্দাদের নিরাপদ অঞ্চলে নিয়ে যাওয়ার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশিক জলঢাকা ও তিস্তা নদীর পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোতে মাইকিং শুরু হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের সতর্ক করা হয়েছে। বানারহাটের গয়েকাটার পাশাপাশি বিন্নাগুড়ি এলাকাতেও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিস্তীর্ণ অঞ্চল জলের তলায় চলে গিয়েছে। কিন্তু যে হারে বৃষ্টি হচ্ছে, তাতে পরিস্থিতি আরও ভয়ানক হয়ে উঠতে পারে।
দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে প্রবল বৃষ্টির জেরে একাধিক এলাকায় ধস নামছে। ১ লক্ষ ২৮ হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়ছে তিস্তার ব্যারেজ। জলপাইগুড়ির তিস্তাপাড়ে জারি লাল সতর্কতা। পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।