প্রথমে ছাত্রসমাজের ডাকা নবান্ন অভিযান, তারপরে রাজ্যজুড়ে ১২ ঘণ্টার বনধ৷ তবে আরজি কর ইস্যুকে এর পরেও জিইয়ে রাখতে চাইছে বঙ্গ বিজেপি(Bjp)৷ শ্যামবাজারের পরে আজ, বৃহস্পতিবার থেকে সপ্তাহব্যাপী ধর্মতলায় ধরনা অবস্থান কর্মসূচি বঙ্গ বিজেপির।
প্রসঙ্গত, আরজি কর ইস্যুতে আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়াতে চাইছে পদ্ম শিবির। শ্যামবাজারের পর আজ, বৃহস্পতিবার থেকে ফের টানা আন্দোলনে নামছে তারা। গত বুধবারই সাংবাদিক বৈঠকে এবিষয়ে আদালতের অনুমতি পাওয়ার কথা জানান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার৷ধর্মতলায় সপ্তাহব্যাপী ধরনা অবস্থান কর্মসূচির পাশাপাশি একগুচ্ছ আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এরমধ্যে রয়েছে আগামিকাল, শুক্রবার ৩০ অগাস্ট রাজ্য মহিলা কমিশনে তালা লাগাও কর্মসূচি। আগামী ২ সেপ্টেম্বর রাজ্যজুড়ে ডিএম অফিস ঘেরাও, ৪ তারিখ সমস্ত বিডিও অফিস এবং ৬ সেপ্টেম্বর কলকাতা সহ রাজ্যজুড়ে এক ঘণ্টার চাক্কা জ্যাম কর্মসূচি।
প্রসঙ্গত, আজ, বৃহস্পতিবার থেকে ফের ধরনা কর্মসূচি শুরু করতে চলেছে রাজ্য বিজেপি৷ ধর্মতলায় বিজেপিকে ধরনার অনুমতি ইতিমধ্যেই দিয়েছে হাইকোর্ট৷ ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ধরনার অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর৷ সকাল ১০ থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে এই ধরনা৷ ধরনায় এক হাজারের বেশি জমায়েত করা যাবে না-ও বলে জানানো হয়েছে৷
মঙ্গলবার ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের’ ব্যানারে নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছিল। সেই অভিযানে পুলিশের পাশাপাশি আহত হয় বেশ কয়েকজন। তাঁদের দেখতে এসে বিস্ফোরক বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “জনগণ জেগেছে। সরকারের পালানোর সময় এসেছে। এবার জাতীয় পতাকা নিয়ে একসঙ্গে কালীঘাট,নবান্ন লালবাজার অভিযান হবে।”