আরজি কর কাণ্ডের আবহে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অবিলম্বে নগরপাল সরানোর বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন রাজ্যপাল আনন্দ বোস (Governor CV Ananda Bose)। তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই বিষয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক ডাকতে বলেন। আরজি কর কাণ্ডে নগরপাল বিনীত গোয়েলের ভূমিকা নিয়ে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ বাড়ছে। সেই কারণেই রাজ্যপাল (Governor CV Ananda Bose) বিনীত গোয়েলকে সরানোর কথা বলেছেন।
সংবাদ সংস্থার তরফে দাবি করা হয়েছে, রবিবারই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (Governor CV Ananda Bose) আরজি কর কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক ডাকার নির্দেশ দেন। তিলোত্তমার বিচার চেয়ে জনগণের দাবি নিয়ে আলোচনার পরামর্শ দেন তিনি। পাশাপাশি তিনি বলেন, রাজ্য এই নক্কারজনক ঘটনায় দায় এড়িয়ে থাকতে পারে না। রাজ্যে যা হচ্ছে, তা দেখে চুপ করে বসে থাকতে পারবেন না বলে রাজ্যপাল সাফ জানিয়ে দেন।
প্রসঙ্গত, আরজি কর কাণ্ডে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বার বার প্রশ্ন উঠেছে। নির্যাতিতার দেহ অতি সক্রিয়তার সঙ্গে দাহ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও নির্যাতিতার দেহ দাহ করার আগে পুলিশের তরফে নির্যাতিতার বাবাকে টাকার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, এই বিষয়ে খোদ নির্যাতিতার বাবা অভিযোগ করেন। পাশাপাশি ১৪ তারিখে আরজি করে ভাঙচুর চালায় একদল দুষ্কৃতী। সেখানে কার্যত নীরব ভূমিকা পালন করে পুলিশ। শুধু তাই নয়, পুলিশ দুষ্কৃতীদের ভয়ে মহিলা শৌচালয়ে লুকিয়ে ছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই কলকাতা পুলিশ ও নগরপাল বিনীত গোয়েলের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ কার্যত ফেটে পড়ে। প্রায় প্রতি মিছিল থেকে বিনীত গোয়েল ও কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে স্লোগান উঠতে থাকে।
অন্যদিকে, সুপ্রিম কোর্টের তরফে আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে বড় ঘোষণা করেছেন। জুনিয়র চিকিৎসকদের আগামীকাল বিকেল পাঁচটার মধ্যে কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদি তাঁরা যোগ না দেন, সেক্ষেত্রে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হবে। অন্যদিকে, রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল জানিয়েছেন, শাস্তিমূলক কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হবে না, তাঁদের বদলি করা হবে। এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের কোনও বয়ান পাওয়া যায়নি।