আরজি কর কাণ্ডের পর থেকে জুনিয়র চিকিৎসকরা (Junior Doctors) লাগাতার আন্দোলন করছেন। নাগরিক সমাজের একাংশ তাঁদের সমর্থন করেছেন। ১০ দফা দাবি নিয়ে তাঁরা (Junior Doctors) অনশন করেছিলেন। পরে আরজি করে নির্যাতিতার বাবা-মায়ের অনুরোধে তাঁরা অনশন (Junior Doctors) তুলে নেন। ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফোরাম- এর অধীনে জুনিয়র চিকিৎসকরা আন্দোলন করেন। জুনিয়র চিকিৎসকদের পাল্টা মঞ্চ গঠনের ডাক দেওয়া হল। যে সব জুনিয়র চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে থ্রেট কালচারের অভিযোগ উঠেছে, তাঁরা পাল্টা একটি মঞ্চ গঠন করবেন বলে জানিয়েছেন। শনিবার তাঁরা প্রথম সাংবাদিক সম্মেলন করবেন বলে জানা গিয়েছে।
আরজি করের দুই জুনিয়র চিকিৎসক শ্রীশ মাইতি ও প্রণয় মাইতির উদ্যোগে জুনিয়র চিকিৎসকদের আর একটি সংগঠন গঠিত হবে বলে জানা গিয়েছে। মূলত যাঁদের বিরুদ্ধে থ্রেট কালচারের অভিযোগ, যাঁদের আরজি কর ও বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে থ্রেট কালচারের অভিযোগে সাসপেন্ড করা হয়েছে, তাঁরা এই মঞ্চ গঠন করবেন বলে খবর। অন্যদিকে, জুনিয়র ডক্টরস ফোরামের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, আরজি করে একটি অ্যান্টি ব়্যাগিং কমিটি গঠন করেছিলেন তৎকালীন প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষ। সেখানে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ নিয়ে আসা হয়েছে। যাঁরা অভিযোগ করতেন ব়্যাগিংয়ের, তাঁদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হতো বলে ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফোরামের তরফে জানানো হয়েছে।
আরজি করের জুনিয়র চিকিৎসক শ্রীশ চক্রবর্তী জানান, আন্দোলনের নামে কিছু জুনিয়র চিকিৎসক নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধি করছে। তিনি বলেন, থ্রেট কালচারের মিথ্যা অভিযোগে তাঁকে ও আরও কয়েকজন জুনিয়র চিকিৎসকদের কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে তাঁরা ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন গঠন করতে বাধ্য হচ্ছেন। প্রসঙ্গত, আরজি কর কাণ্ডের পর সন্দীপ ঘোষ ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে থ্রেট কালচারের অভিযোগ জোড়াল হয়। ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য দফতর জুনিয়র চিকিৎসক অভীক দের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছেন। থ্রেট কালচারের অভিযোগে বেশ কয়েকজন জুনিয়র চিকিৎসককে বরখাস্ত করে আরজি কর কর্তৃপক্ষ। পরে হাইকোর্টের হস্তক্ষেপে তাঁরা কাজ ফিরে পান।