ক্রমেই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে দানা (Cyclone Dana)। বৃহস্পতিবার রাতে কিংবা শুক্রবার সকালে ঘূর্ণিঝড় দানা ধামরায় আছড়ে পড়তে পারে (Cyclone Dana)। ওড়িশার ধামরায় (Cyclone Dana) প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। তার সঙ্গে শুরু ঝোড়ো হাওয়া (Cyclone Dana) । ঝোড়ো হাওয়ার গতিবেগ এতটাই বেশি যে সোজা হয়ে দাঁড়ানো যাচ্ছে না রাস্তায় (Cyclone Dana)।
এখন ঘূর্ণিঝড় দানা পারদ্বীপ থেকে ২৬০ কিমি, ধামরা থেকে ২৯০ কিমি এবং সাগরদ্বীপ থেকে ৩৫০ কিমি দূরে অবস্থান করছে। আজকে রাত ১১টা থেকে আগামীকাল ভোর সাড়ে পাঁচটার মধ্যে ওড়িশার ভিতরকনিকা ও ধামরার মধ্যবর্তী কোনও জায়গায় আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড়। ওড়িশা বাংলা উপকূলে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
বুধবার রাত থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে ধামরায়। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বৃষ্টির তীব্রতা বাড়তে শুরু করেছে। ধামরা বন্দর এলাকায় মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। কালো মেঘে ছেয়ে আছে গোটা এলাকা। দিন না রাত বোঝার উপায় নেই। বড়-বৃষ্টির জেরে দৃশ্যমান্যতা নেই বললেই চলে। দূরে কিছুই দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। নতুন করে ভয় ধরাচ্ছে জোয়ার। যে সময়ে ঘূর্ণিঝড় ডানার আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে, সেই সময় জোয়ার আসার কথা রয়েছে। ইতিমধ্যে সমুদ্র উত্তাল হতে শুরু করেছে। দ্রুত জলস্তর বাড়তে শুরু করেছে। এভাবে জলস্তর বাড়তে থাকলে ধামরার সঙ্গে ভিতরকনিকায় ব্যাপক ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। ধামরা বন্দর লাগোয়া মৎস্যজীবীদের গ্রাম। গ্রাম থেকে সাধারণ মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। অপেক্ষাকৃত নীচু এলাকার বাসিন্দারা ত্রাণ কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে।
অন্যদিকে, ভিতর কনিকাতে ব্যপক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। ধামরা ও ভিতর কনিকাতে অসংখ্য দ্বীপ রয়েছে। রয়েছে ম্যানগ্রোভ রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে ব্যাপক ক্ষতি ম্যানগ্রোভ অরণ্যের হতে পারে। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের দাপটে ব্যাপকক্ষতি হয়েছিল। পারাদ্বীপেও বড় বিপদের আশঙ্কা। ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে গড়, কুজন, রামনগর, মুসাডিহার মত মহানদী সংলগ্ন গ্রামগুলি। ইতিমধ্যে পারদ্বীপ বন্দরের কাজ বন্ধ করা হয়েছে। বের করে দেওয়া হয়েছে জাহাজ।