গাজায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর আক্রমণ অব্যাহত রয়েছে। রবিবার সকাল থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সর্বশেষ বিমান হামলায় ১০০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর সাথে সাথে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধে (Israel-Hamas War) নিহতের সংখ্যা ৫৮০০০ এ পৌঁছেছে। আল জাজিরার প্রতিবেদন অনুসারে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজা শহরের একটি বাজারে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে, যার ফলে চিকিৎসা উপদেষ্টা আহমেদ কান্দিল সহ ১২ জন নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলের সবচেয়ে মারাত্মক হামলাটি ঘটে নুসেরাত শরণার্থী শিবিরে, যেখানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ১০ জন মারা গেছেন। নিহতদের বেশিরভাগই শিশু, যারা পানীয় জলের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে ছিল। এই হামলায় ১৭ জন আহতও হয়েছেন।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধ চলছে
ফিলিস্তিনি সন্ত্রাসী সংগঠন হামাসকে নির্মূল করার জন্য ইসরায়েল ৭ অক্টোবর ২০২৩ সালে গাজায় আক্রমণ (Israel-Hamas War) করে। তারপর থেকে আজ ১৪ জুলাই ২০২৫ পর্যন্ত যুদ্ধে ৫৮০২৬ জন মারা গেছে। ১৩৮৫০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে। যুদ্ধে প্রাণ হারানো মানুষের অর্ধেকেরও বেশি নারী ও শিশু। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর প্রধান লক্ষ্যবস্তু হলো গাজা উপত্যকা। বেশিরভাগ হামলাই হয়েছে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর এবং ইসরায়েল-লেবানন সীমান্তে। সামরিক ঘাঁটি এবং আবাসিক এলাকায় রকেট, ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন দিয়ে আক্রমণ করা হচ্ছে। হামাসের প্রতিশোধে প্রায় ১২০০ ইসরায়েলি নিহত এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করা হয়। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী পাল্টা আক্রমণ করে অপারেশন আয়রন সোর্ডস শুরু করে।
যুদ্ধবিরতির চেষ্টা
জাতিসংঘ এবং অনেক দেশ ইসরায়েল এবং হামাসের কাছে যুদ্ধবিরতির আবেদন করেছে, কিন্তু ইসরায়েল গাজায় হামাসকে নির্মূল করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। কাতার এবং মিশরও মধ্যস্থতার চেষ্টা করেছিল। ২০২৩ সালের নভেম্বরে ৭ দিনের যুদ্ধবিরতি হয়েছিল। এই সময় ৮০ জন ইসরায়েলি অপহৃতকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল এবং ২৪০ জন ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। আমেরিকা যুদ্ধে তার বন্ধু ইসরায়েলকে সমর্থন করছে। ইরান, লেবানন, হিজবুল্লাহ হামাসকে সমর্থন করছে।