দীপাবলিকে (Diwali) আলোর উৎসব বলা হয়। সেই আলোর উৎসবে সামিল হতে আতশবাজির সঙ্গে দীপাবলির (Diwali) একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ গড়ে উঠেছে। এছাড়াও ভারতীয় সংস্কৃতির সঙ্গে আতশবাজির একটি গভীর যোগ রয়েছে। অন্ধকারের উপর আলোর বিজয়কে চিহ্নিত করে এই আতশবাজি। দীপাবলি (Diwali) এবং আতশবাজির মধ্যে সম্পর্ক শতাব্দী প্রাচীন। আনন্দ, সমৃদ্ধি, এবং নেগেটিভ শক্তির থেকে মুক্তির প্রতীকী চিত্র হিসেবে আতশবাজির ব্যবহার। আতশবাজিতে শুধু আকাশ বিভিন্ন রঙে ভরে ওঠে না। বাতাস উৎসবের শব্দে ভরে ওঠে।
দীপাবলিতে আতশবাজি জ্বালানোর রীতি উৎসবের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিশ্বাস করা হয় যে আতশবাজির শব্দ দুষ্ট চেতনাগুলিকে ভয় দেখিয়ে দূরে সরিয়ে দেয়, শান্তি এবং সমৃদ্ধি নিশ্চিত করে। এই রীতি উৎসবের ঐতিহ্যে গভীরভাবে নিহিত। দুষ্টের দমনের পর বিজয় সূচক হিসেবে আতশবাজির ব্যবহার করা হয়। আকাশে প্রতিটি বিস্ফোরণ আনন্দের একটি গল্প বর্ণনা করে। উৎসবকে আরও জীবন্ত করে তোলে।
সম্প্রতি কিছু বছর ধরে আতশবাজিতে নিয়ে উদ্বেগ ধরা পড়েছে। আতশবাজির কারণে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে ও ভারসাম্য ব্যবহত হচ্ছে পরিবেশ। আতশবাজির ধোঁয়া এবং তাপ ধ্বংসাবশেষ বাতাস এবং শব্দ দূষণে উল্লেখযোগ্যভাবে ভূমিকা রাখছে। এটি দীপাবলি উদযাপনের আরও পরিবেশ বান্ধব হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কম দূষণকারী পরিবেশবান্ধব আতশবাজি ব্যবহারের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
পরিবেশগত উদ্বেগ ক্রমবর্ধমান হলেও দীপাবলিতে আতশবাজি জ্বালানোর ঐতিহ্য অনেকের জন্য উৎসবের একটি কেন্দ্রীয় অংশ হিসেবে এখনও বজায় রয়েছে। দীপাবলিতে পরিবারের সবাই একসঙ্গে হয়, নিজেদের আনন্দ ভাগ করে নেয়। সেই উপলক্ষে আতশবাজি ব্যবহার করা হয়। আতশবাজিতে রঙিন হয়ে ওঠে আকাশ, সেটাকেই উৎসবের মুহূর্ত হিসেবে মানুষ ধরে রাখতে চায়।
দীপাবলি এবং আতশবাজির মধ্যে সম্পর্ক উৎসবের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রমাণ। পরিবেশগত প্রভাবের প্রতি সচেতন থাকা গুরুত্বপূর্ণ হলেও এমন একটি উপায় অবশ্যই খুঁজে বের করতে হবে যেখানে পরিবেশও সুস্থ থাকবে ও ঐতিহ্য বজায় থাকবে। দীপাবলি উৎসবের সারমর্ম হল অন্ধকারের উপর আলোর বিজয় উদযাপন করা। দীপাবলির সঙ্গে আতশবাজির অবিচ্ছেদ্য যোগ এখন যেন ভাঙার উপক্রম।