আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের নারকীয় মৃত্যুর ঘটনায় রয়েছে খুন ও ধর্ষণের অভিযোগ। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হিসাবে গ্রেফতার হয়েছেন সঞ্জয় রায়(Sanjay Rai)। তদন্তে নেমেছে সিবিআই। রবিবারই সঞ্জয় রায়ের পলিগ্রাফ টেস্টের পথে হাঁটে সিবিআই। মিডিয়া রিপোর্টের দাবি, সঞ্জয় তাঁর ‘লাই ডিটেক্টর’ টেস্টে জানিয়েছেন, তিনি যখন সেমিনার হলে পৌঁছন, তখন ওই তরুণীকে সেখানে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। আর জি কর কাণ্ডে এটি কার্যত বিস্ফোরক তথ্য হিসাবে উঠে আসছে।
কিছুদিন আগেই ধৃত সঞ্জয় দাবি করেছিল তিনি ‘নির্দোষ’ বলে। তিনি বলেছিলেন,’আমি কিছু করিনি’। সঞ্জয় রায়ের সেই দাবির পরই তার পলিগ্রাফ টেস্ট হয়। ‘টাইমস অফ ইন্ডিয়ার’ খবর বলছে, এই লাই ডিটেক্টর টেস্টে বেশ কিছু ভুয়ো ও যুক্তিযুক্তভাবে মানা যাচ্ছে না এমন তথ্যও উঠে এসেছে। সূত্র দাবি করছে, ওই লাই ডিটেক্টর পরীক্ষার সময় সঞ্জয় রায় অস্থির ও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন। সিবিআই নানান প্রমাণ সামনে রেখে সঞ্জয়কে ওই পরীক্ষায় প্রশ্ন করা শুরু করলে, সে নানান অজুহাত দিতে থাকে। দাবি করে, সে যখন সেমিনার হলে পৌঁছয়, তখন তরুণীকে মৃত অবস্থায় দেখে। এমনই তথ্য দাবি করেছে মিডিয়া রিপোর্ট।
লাই ডিটেক্টর টেস্টে সঞ্জয় রায় বলে, ঘটনাস্থলে ওই তরুণীকে মৃত অবস্থায় দেখে তিনি ঘটনাস্থল থেকে ভয়ে পালিয়ে যান। এর আগে, যখন কলকাতা পুলিশ সঞ্জয়কে গ্রেফতার করে, তখন তিনি ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ স্বীকার করেছিল বলে জানা গিয়েছিল। এরপর সঞ্জয় সদ্য দাবি করেন, যে তিনি নির্দোষ। তারপরই এই টেস্ট হয় সঞ্জয়ের। এদিক, মিডিয়া রিপোর্ট বলছে, জেলে থাকা গার্ডদের সঞ্জয় বলেছে, সে এই ধর্ষণ ও খুনের বিষয়ে কিছু জানতেন না। গত সপ্তাহে, একই দাবি সঞ্জয় শিয়ালদায় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে করেন বলেও খবর।
সিবিআই এবং পুলিশ, সঞ্জয়ের বক্তব্যে বেশ কিছুটা অসঙ্গতি পেয়েছে। প্রসঙ্গত, যখন সঞ্জয় নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করছে, সেখানে এই বক্তব্যের অসঙ্গতি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। সঞ্জয় তদন্তের মুখ বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। নিজেকে নির্দোষ দাবি করলেও, সঞ্জয় তার মুখে আঘাত ও ঘটনার সময় তার সেখানে উপস্থিত থাকা নিয়ে সেভাবে যুক্তি দিতে পারেনি বলে রিপোর্টের দাবি।