আরজে করে তরুণী চিকিৎসক হত্যা কাণ্ডে সন্দীপ ঘোষের (Sandeep Ghosh) সঙ্গে কী সম্পর্ক ছিল সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের। সেই নিয়েই প্রশ্ন তুললেন ট্রান্সজেন্ডার কমিউনিটির প্রথম শ্রেণির যোদ্ধা কাজী আলি আফতাব। পাশাপাশি তিনি বিস্ফোরক মন্তব্য প্রকাশ্যে আনলেন। কী বললেন কাজী আলি আফতাব? তিনি বলেন, এই চিকিৎসক (sandeep Ghosh) ট্রান্স জেন্ডার কমিউনিটিকে নূন্যতম সম্মান করতেন না। তাঁদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করে শারীরিক নির্যাতন করতেন সন্দীপ ঘোষ (Sandeep Ghosh)।
এক সাক্ষাৎকারে কাজী আলি আফতাব বলেন, আরজি করে নির্যাতিতা তরুণীকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে সঞ্জয় রায়কে। সেই সঞ্জয় রায়ের সঙ্গে কী সম্পর্ক ছিল সন্দীপ ঘোষের (Sandeep Ghosh)। এমনি এমনি তো কেউ সব দোষ নিজের মাথায় নিচ্ছে না। পাশাপাশি কাজী আলি আফতাব দাবি করেন, সন্দীপ ঘোষের (Sandeep Ghosh) যা চরিত্র, তিনি এই ধরনের সম্পর্কে যুক্ত থাকবেন না, সেটা হলফ করে বলা যেতে পারে না।
আরজি কর কাণ্ডের প্রথম ১২ ঘণ্টার মধ্যে সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করা হয়। সঞ্জয় রায় প্রথম থেকে দাবি করছেন, তাঁকে ফাঁসি দেওয়া হোক। প্রসঙ্গত, সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করার পরেই মোবাইল থেকে একাধিক নীল ছবি খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। তা দেখে কার্যত চমকে ওঠেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। তদন্তকারী আধিকারীকরা দাবি করেছেন, সঞ্জয় রায় এমন ধরনের নীল ছবি দেখতেন, তা সাধারণ মানুষ দেখতেন না। এই পরিস্থিতিতেই ইডি সন্দীপ ঘোষের ল্যাপটপ থেকে একাধিক পুরুষের নগ্ন ছবি খুঁজে পায়। যার জেরে সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ নতুন করে প্রাসঙ্গিতা খুঁজে পায়।
অন্যদিকে, শনিবার আরজি কর কাণ্ডে সন্দীপ ঘোষকে সিবিআই গ্রেফতার করে। তার পাশাপাশি টালা থানার অপসারিত ওসিকে গ্রেফতার করা হয়। সিবিআই সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার ওসিকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে। সিবিআইয়ের ব়্যাডারে পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।