ত্রিপুরার শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে এক নতুন দিগন্ত
লন্ডনের ব্রিটিশ পার্লামেন্ট হাউসে অনুষ্ঠিত এক বিশেষ অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গের কৃতি সন্তান ও বিশিষ্ট উদ্যোগপতি ড. মলয় পিট-কে বিশ্বখ্যাত ওয়ার্ল্ড বুক অব রেকর্ডস (World Book of Records London) লন্ডন সম্মাননা প্রদান করেছে। ত্রিপুরা শান্তিনিকেতন মেডিক্যাল কলেজের অসামান্য সাফল্যের জন্য তাঁকে এই বিরল সম্মানে ভূষিত করা হয়।
ড. পিটের প্রতিষ্ঠিত এই মেডিক্যাল কলেজটি তার উদ্বোধনী বছরেই ভারতজুড়ে ২১টি রাজ্য থেকে সর্বাধিক সংখ্যক শিক্ষার্থীকে আকৃষ্ট করে এক অনন্য রেকর্ড গড়ে তুলেছে (World Book of Records London)। এই অর্জন শুধুমাত্র ত্রিপুরার নয়, সমগ্র ভারতের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের জন্য এক গর্বের মুহূর্ত।
ড. মলয় পিট বিনয়ের সঙ্গে জানিয়েছেন যে, এই সম্মান তাঁর ব্যক্তিগত সাফল্য নয়, বরং তাঁর সমগ্র টিমের নিরলস পরিশ্রম এবং সাধারণ মানুষের আস্থার প্রতিফলন। তিনি বলেন, “এই পুরস্কার সমগ্র টিমের সম্মিলিত অধ্যবসায় এবং ত্রিপুরা ও ভারতের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিচ্ছবি।”
আগরতলার কাছে রানীরখামারে অবস্থিত এই কলেজটি পিছিয়ে পড়া অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের জন্য মানসম্মত চিকিৎসা শিক্ষা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এর লক্ষ্য হলো এমন চিকিৎসক তৈরি করা যারা শুধু দক্ষ নয়, বরং মানবিকও। আধুনিক পরিকাঠামো, উন্নত মানের শিক্ষা এবং মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির সমন্বয়ে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই কলেজটি শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাপক আস্থা অর্জন করেছে। এই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং শুভানুধ্যায়ীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টারই ফল।
প্রতিষ্ঠানের মূল দর্শন হলো, জ্ঞান ও সেবাকে এক করে মানুষের পাশে দাঁড়ানো। ড. পিট বিশ্বাস করেন, এই সম্মান ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে মানবসেবার কাজে অনুপ্রাণিত করবে। ২০২৩ সালে ড. পিট-এর শুরু করা ‘পজিটিভ বার্তা’ নামক সামাজিক আন্দোলনটি এখন জাতীয় স্তরে প্রসারিত হয়েছে এবং এটি ত্রিপুরা শান্তিনিকেতন মেডিক্যাল কলেজের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
এই সম্মাননা শুধু একটি পুরস্কার নয়, এটি এক বৃহত্তর দায়িত্বের আহ্বান। ড. পিট ও তাঁর প্রতিষ্ঠানের এই সাফল্য প্রমাণ করে যে, ছোট রাজ্য ত্রিপুরা এখন বিশ্ব দরবারে নিজের উজ্জ্বল উপস্থিতি জানান দিচ্ছে। এটি তরুণ প্রজন্মকে নতুন করে স্বপ্ন দেখতে এবং সমাজের সেবায় এগিয়ে আসতে অনুপ্রেরণা যোগাবে।