সমীর সাহা, নদিয়াঃ বিদেশে কাজ করতে গিয়ে আত্মহত্যা করলেন নদীয়ার চাকদহের বাসিন্দা দেবাশীষ মজুমদার। অভিযোগের তীর পরান মন্ডল নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। মৃতের পরিবার সূত্রের খবর, মোটা টাকার বিনিময়ে অভিযুক্ত পরান মন্ডল দেবাশীষকে মালয়েশিয়ায় কাজের জন্য পাঠিয়ে ছিলেন। কিন্তু সেখানে গিয়ে বিপাকে পড়েন দেবাশীষ। ভালো কাজ তো দূরের কথা তাকে জঙ্গল পরিষ্কার করার কাজ দেওয়া হয়। যা তার পছন্দ ছিল না। পরিবারের আরো অভিযোগ, ঠিক ভাবে খেতে দেওয়া হত না দেবাশীষকে। উপরন্তু মানসিক হেনস্থা করা হত। অভিযুক্ত পরানকে বিষয়গুলি জানানো সত্ত্বেও তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি। উল্টে পরিবারকে হুমকি দিয়েছে পরান। এমনটাই অভিযোগ দেবশীষের পরিবারের। চাকদহ পাঁচ নম্বর দুর্গানগরের বাসিন্দা শর্মিলা দাস বলেন, ডিসেম্বর মাসের দিকে তার স্বামীও গেছেন ওই কাজে। তিনি বলেন আমাদের থেকে দু লাখ টাকা নিয়েছে। এখানে বলে গিয়েছিল ভালো কাজ দেবে। কিন্তু ভালো কাজ দেওয়া হয়নি। অত্যাচার করা হচ্ছে তার ওপর।তিনি বলেন, সংসার চলছে না। বাজারে অনেক টাকা ধার হয়ে গেছে। শর্মিলা দেবী আরও বলেন, তার স্বামী ডিসেম্বর মাসে গেলেও দেবাশীষ অক্টোবর মাসে গিয়েছে। তিনি বলেন ওর মৃত্যুসংবাদ শোনার পড়ে বুঝে উঠতে পারছিনা ও আত্মহত্যা করেছে না ওকে খুন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার তার মৃত্যু সংবাদ বাড়িতে এসে পৌঁছায়।যদিও এই ঘটনার পর এলাকা ছেড়ে পলাতক অভিযুক্ত। স্থানীয় মানুষ পরান মন্ডলের বাড়ি ভাঙচুর চালায়। চাকদহ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে মৃতের পরিবার। পরান মন্ডল ও তাঁর সাকরেদদের গ্রেফতারের দাবিতে চাকদহ থানায় বিক্ষোভ দেখান দেবাশীষের পরিবার ও স্থানীয়রা। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।