গুজরাটের সুরেন্দ্রনগরে এক নির্বাচনী জনসভায় (Modi’s Rally) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দাবি করেন, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে ভগবান রাম ও ভগবান শিব সম্পর্কে বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছেন। কংগ্রেস হিন্দু সমাজকে বিভক্ত করার চেষ্টা করছে। তারা রাম ভক্ত এবং শিব ভক্তদের মধ্যে লড়াই তৈরি করতে চায়। মল্লিকার্জুন খাড়গে ভগবান রাম এবং ভগবান শিব সম্পর্কে অত্যন্ত বিপজ্জনক বক্তব্য দিয়েছেন। অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে এই মন্তব্য করা হয়েছে। আমাদের হাজার হাজার বছরের ঐতিহ্য রয়েছে, যা মুঘলরাও ভাঙতে পারেনি, এখন কংগ্রেস সেগুলো ভাঙতে চায়।”
মোদি বলেন, ‘এক মাস আগে তাদের শাহজাদে বলেছিলেন যে তিনি ‘শক্তি’ ধ্বংস করবেন। আমরা শক্তির উপাসক। শাহজাদে বলেছিলেন যে তিনি শক্তি ধ্বংস করবেন। ভক্তরা কি এটা ক্ষমা করতে পারবেন? তুষ্টির জন্য কংগ্রেস কতটা নিচে নেমে যাবে? প্রধানমন্ত্রী আরও দাবি করেন যে, তিনি সংরক্ষণের বিষয়ে তাদের সত্য প্রকাশ করার পর থেকে কংগ্রেস দল তার “ভারসাম্য” হারিয়েছে।
তিনি বলেন, যখন থেকে আমি দেশের সামনে এসসি/এসটি/ওবিসি-র বিরুদ্ধে কংগ্রেসের পদক্ষেপের সত্যতা প্রকাশ করেছি, তখন থেকে কংগ্রেস তার ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছে, কংগ্রেস আতঙ্কিত হয়ে মিথ্যা বলছে। কংগ্রেস দলের বিরুদ্ধে আক্রমণ জোরদার করে প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেন যে, পূর্বের কংগ্রেসের বহু কোটি টাকার কেলেঙ্কারির জন্য দেশ লজ্জায় মাথা নত করছে।
১০ বছর আগে জল, স্থল এবং আকাশের হাজার হাজার কোটি টাকার কেলেঙ্কারি, লক্ষ লক্ষ কোটি টাকার কেলেঙ্কারির জন্য আমাদের দেশ লজ্জায় মাথা নত করত। এমন একটিও দিন ছিল না যখন কেলেঙ্কারির খবর সংবাদপত্রে শিরোনামে আসেনি। ২জি কেলেঙ্কারি, কয়লা কেলেঙ্কারি, প্রতিরক্ষা কেলেঙ্কারি, সিএজি কেলেঙ্কারি, হেলিকপ্টার কেলেঙ্কারি, সাবমেরিন কেলেঙ্কারি, কমনওয়েলথ কেলেঙ্কারি। ১০ বছর আগে জল, স্থল এবং আকাশে কংগ্রেস হাজার হাজার কোটি টাকার কেলেঙ্কারি করেছিল, গোটা বিশ্ব ভারতকে বোঝা ভেবেছিল এবং বলেছিল যে ভারত নিজেই ডুবে যাবে। কেউ কেউ বলতেন, এটি একটি দরিদ্র ও দুর্বল দেশ।আজ ভারতে আসার জন্য বড় বড় কোম্পানিগুলির মধ্যে প্রতিযোগিতা চলছে। ভারত আজ আত্মনির্ভর হয়ে উঠছে। যারা সন্ত্রাসবাদী পাঠায় তারা জানে যে ভারত আজ তাদের নিজ ভূখণ্ডে পাল্টা জবাব দেয়।
মোদি আরও দাবি করেন, কংগ্রেস মুসলমানদের একটি নির্দিষ্ট কোটা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তিনি বলেন, তারা (কংগ্রেস) তাদের ইশতেহারে লিখেছে যে, এখন সমস্ত সরকারি টেন্ডারে মুসলমানদের জন্য কোটা থাকবে। এখন সরকারি চুক্তিতেও ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণ করা হবে।