নয়াদিল্লি: করোনা ভাইরাসের আবহে নিজে মুখে বললেন না যে, দেশে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। তবে আনলক-১-এর দেশে সংক্রমিতের সংখ্যা বৃদ্ধির দায় কার্যত আমজনতার ঘাড়েই চাপালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ক্ষোভপ্রকাশ করে জানালেন, আনলক-১ থেকে দেশবাসীর ‘দায়িত্বজ্ঞানহীনতা’ বেড়েছে।
আনলক-২ শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশে মোদী বলেন, ‘যখন থেকে দেশে লকডাউন শুরু হয়েছে, তখন থেকে ব্যক্তিগত এবং সামাজিক স্তরে দায়িত্বজ্ঞানহীনতা বাড়ছে। আগে আমরা মাস্ক পরা, দু’গজ দূরত্ব মেনে চলা, দিনে একাধিকবার ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধোয়ার মতো বিষয়ে অত্যন্ত সতর্ক ছিলাম। লকডাউনের সময় কঠোরভাবে নিয়ম পালন করা হয়েছিল। এখন সরকার, স্থানীয় প্রশাসন এবং দেশবাসীদের ফের সেরকম সতর্কতা দেখাতে হবে।ভারতে কেউ আইনের ঊর্দ্ধে নয়, এমনকী, নেতারাও, এদিন জাতির উদ্দেশে ভাষণে বললেন প্রধানমন্ত্রী।’
‘তবে শুধুমাত্র নিজেই নিয়ম মেনে চললেই কাজ শেষ হবে না, যাঁরা সতর্কতা অবলম্বন করছেন না, তাঁদের সচেতন করারও আর্জি জানিয়েছেন মোদী। একইসঙ্গে দেশের কনটেনমেন্ট জোনগুলি যে কেন্দ্রের মাথাব্যথার অন্যতম কারণ, তা কার্যত স্বীকারও করে নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘বিশেষত কনটেনমেন্ট জোনে আমাদের বেশি নজর দিতে হবে। যাঁরা নিয়ম মেনে চলছেন না, তাঁদের ব্যাখ্যা করতে হবে, আটকাতে হবে এবং বোঝাতে হবে।’
গত কয়েক সপ্তাহে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫.৬ লক্ষেরও বেশি এবং মৃতের সংখ্যা প্রায় ১৭,০০০ জন।