সুরক্ষা নিশ্চিত করার আশ্বাস দিয়েছে কেন্দ্র, কিন্তু তাতে সন্তুষ্ট নন প্রতিবাদী চিকিৎসকরা(Rg kar medical college protest)। আরজি কর কাণ্ডে এবার অভিনব প্রতিবাদ চিকিৎসকদের। সিদ্ধান্ত নিলেন রাস্তাতেই আউটডোর চিকিৎসা করবেন তারা। কেন্দ্রের কাছে রাখা দাবি পূরণ নিয়ে এখনও সদর্থক উত্তর না মেলাতেই এই আন্দোলনের পথে চিকিৎসকরা।
অল ইন্ডিয়া ইন্সটিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্স (AIIMS) এবং দিল্লির অন্যান্য হাসপাতালের রেসিডেন্ট চিকিৎসকরা কলকাতার আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদেই স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বাইরে বসেই ওপিডি রোগী দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। রেসিডেন্ট ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের তরফে দেওয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রাস্তায় ওপিডি পরিষেবা দিয়েই প্রতিবাদ করবেন চিকিৎসকরা। দিল্লির নির্মাণ ভবন, যা স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অফিস, তার বাইরে বসেই আজ, ১৯ অগস্ট থেকে রাস্তায় রোগী দেখা হবে।
প্রতিবাদী চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাদের দাবি পূরণ না হওয়াতেই কর্মবিরতি জারি রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পড়াশোনা থেকে ইলেকটিভ ওপিডি, ওয়ার্ড ও ওটি বন্ধ থাকবে। আইসিইউ, এমার্জেন্সি ওটি বন্ধ রাখারও কথা জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তবে জরুরি পরিষেবা আগের মতোই চালু থাকবে হাসপাতালে। কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তার জন্য কেন্দ্রের কাছে বিশেষ অর্ডিন্যান্স আনার দাবি জানিয়েছেন চিকিৎসকরা, যেখানে স্বাস্থ্যকর্মী ও প্রতিষ্ঠানের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।
কেন্দ্রের তরফে ইতিমধ্যেই একটি কমিটি গঠনের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, যেখানে রাজ্য সরকারও স্টেকহোল্ডার হিসাবে থাকবে এবং চিকিৎসক-স্বাস্থ্য়কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পরিবর্তনের পরামর্শ দেবে।গত ৮ আগস্ট, আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নাইট ডিউটি ছিল তরুণী চিকিৎসকের। রাতে নৃশংস অত্যাচারের শিকার হন তিনি। মৃত্যুও হয়। পরদিন সকালে সেমিনার হল থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। সেই সময় প্রায় বিবস্ত্র অবস্থায় ছিলেন তিনি। এই ঘটনার প্রতিবাদে সোচ্চার প্রায় গোটা দেশ। চতুর্দিকে ওঠে আন্দোলনের ঝড়। আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে গত ১৪ আগস্ট রাতে ‘রাত দখল’ কর্মসূচিতে অংশ নেন মহিলারা। অভিযোগ, ওই রাতেই আর জি করে ঢুকে তাণ্ডব চালায় বহিরাগতরা। এই ঘটনায় ভেঙে তছনছ হয়ে যায় হাসপাতাল। জখম হন আন্দোলনরত চিকিৎসক ও পুলিশকর্মীরা। জরুরি বিভাগ, ওষুধের স্টোররুম ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।