পর পর ১৫ দিন। সোমবার সকালে ফের সিবিআই দপ্তরে আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ(Sandeep Ghosh )। এদিন সকাল ১০.৪০ নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছন তিনি। কিন্তু টানা জেরায় আদৌ কি খুলছে জট? ঘুরপাক খাচ্ছে এই প্রশ্ন।
গত ৮ আগস্ট, নাইট শিফট ছিল আর জি করের তরুণী চিকিৎসকের। পরদিন সকালে সেমিনার হল থেকে দেহ উদ্ধার হয় তাঁর। সেই সময় প্রায় বিবস্ত্র ছিলেন তিনি। অভিযোগ, ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছে তরুণী চিকিৎসককে। ওই ঘটনার সময় আর জি করের অধ্যক্ষ ছিলেন সন্দীপ ঘোষ। তাঁর বিরুদ্ধে আন্দোলনে সরব হন পড়ুয়া ও জুনিয়র চিকিৎসকরা। পদত্যাগের দাবি জানান। টালমাটাল পরিস্থিতির মাঝে গত ১২ আগস্ট এই ঘটনার ‘নৈতিক দায়’ নিয়ে ‘স্বেচ্ছা’য় পদত্যাগ করেন অধ্যক্ষ সন্দীপ। যদিও তার কিছুক্ষণের মধ্যে রাজ্য সরকারের তরফে তাঁকে পুনর্বাসন দেওয়া হয়। সেখানেও প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। এর পর কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে আপাতত লম্বা ছুটিতে আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ।
হাই কোর্টের নির্দেশে গত ১৪ অগস্ট আরজি কর-কাণ্ডের তদন্তের দায়িত্ব হাতে নেয় সিবিআই। তার পরেই সন্দীপকে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরার নির্দেশ দেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকেরা। রক্ষাকবচ পেতে হাই কোর্টের দ্বারস্থও হয়েছিলেন সন্দীপ। তবে আদালত তাঁকে সিবিআইয়ের কাছে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। ১৬ অগস্ট দুপুরে সিবিআইয়ের গাড়িতে চেপে তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে প্রথম যেতে দেখা যায়। তার পর থেকে প্রতি দিনই সিবিআই দফতরে হাজিরা দিতে গিয়েছেন সন্দীপ। তবে এখনও পর্যন্ত মাত্র এক বারই সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলেছিলেন তিনি। ১৭ অগস্ট সিবিআই দফতরে প্রবেশ করার মুখে তিনি জানান, তদন্তে সব রকম সাহায্য করবেন। তার পর থেকে প্রতি দিনই তাঁকে সাংবাদিকেরা বহু প্রশ্ন করেছেন। সব প্রশ্নের প্রেক্ষিতে সন্দীপ ছিলেন নীরব!