টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতারের পর তিলত্তোমা ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তেড়েফুঁড়ে উঠছে। জানা যাচ্ছে, টালা থানার ওসির পর সিবিআই (CBI)-এর নজরে কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল ।
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর কাণ্ডের শুনানি রয়েছে। তারপরেই বিনীত গোয়েলকে সিবিআই (CBI) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করতে পারে। ইতিমধ্যে পুলিশের শীর্ষ কর্তাকে তলবের প্রস্তুতি নিচ্ছে সিবিআই (CBI) বলে জানা গিয়েছে। এই দুই আইপিএস অফিসারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে যে তথ্য উঠে এসেছে তাতে কলকাতা পুলিশের ইন্সস্টিটিউশন্যাল হেড হিসাবে বিনীত গোয়েলের ভূমিকা নিয়ে একাধির প্রশ্ন উঠছে।
যেখানে সিপি-র সঙ্গে টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের কথোপকথন হয়েছে। সেই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে অভিজিৎ মণ্ডল এড়িয়ে যান। এরপরেই কাউকে আড়াল করা বা ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব আর জোড়াল হচ্ছে। অন্যদিকে, ১৪ আগস্ট আরজি কর হাসপাতালে ১৪ আগস্ট রাতে যে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে, সেখানে দাঁড়িয়ে বিনীত গোয়েল বলেছিলেন, “আমরা কোনও ভুল করিনি। আমি আমার অন্তর থেকে বলছি, আমরা কাউকে বাঁচানোর চেষ্টা করছি না। যদি সিবিআই (CBI) প্রমাণ করতে পারে, আমি কিংবা আমার টিমের কেউ কাউকে আড়াল করার চেষ্টা করছি, তথ্য প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করছি, আমাদের দায় থাকবে। আমরা রেসপন্সিবল ফোর্স, এভাবে তথ্য প্রমাণ লোপাট করা যায় না।”
শনিবার সন্দীপ ঘোষের পাশাপাশি তিলোত্তমা ধর্ষণ ও খুন কাণ্ডে টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ নিয়ে এসেছে সিবিআই (CBI)। অভিযোগ, তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে গোটা তদন্তকে ভুল পথে চালিত করছেন। যার জেরে একাধিক প্রশ্ন উঠছে। তিনি কার নির্দেশে এই কাজ করেছেন? কাকে আড়াল করার চেষ্টা করছেন অভিজিৎ মণ্ডল। সিবিআই তদন্তভার নেওয়ার পর বেশ কয়েকবার টালা থানার অপসারিত ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। শনিবার বিকেল চারটের সময় তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন সিবিআই। শনিবার গ্রেফতারের পরেও রাতব্যাপী সিবিআই অভিজিৎ মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিজিৎ মণ্ডলের বয়ানে বেশ কিছু অসঙ্গতি রয়েছে। ঘটনাক্রম থেকে শুরু করে তাঁর যে কল রেকর্ড সিবিআই-এর হাতে এসেছে, তার সঙ্গে বয়ানের একাধিক পার্থক্য রয়েছে। সিবিআইয়ের বক্তব্য, নগরপাল হিসেবে তদন্তে বিনীত গোয়েলের বিষয়টি দেখার কথা ছিল।