আরজি কর (RG Kar) কাণ্ডে বার বার টালা থানার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ইতিমধ্যে টালা থানার অপসারিত ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে সিবিআই (RG Kar) গ্রেফতার করেছে। কর্তব্যে গাফিলতির পাশাপাশি অপসারিত ওসির বিরুদ্ধে (RG Kar) প্রমাণ বিকৃত করার অভিযোগ করেছে। এবার সেই টালা থানায় তালা (RG Kar) ঝুলিয়ে দেওয়ার হুঙ্কার দিলেন সুকান্ত মজুমদার। কার্যত হুমকির সুরে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, সন্ধে ৬টার পর ময়নাতদন্ত করা যায় (RG Kar) না, তা সত্ত্বেও ওসি তাড়াতাড়ি ময়নাতদন্তের সুপারিশ করেছিলেন, রক্ষকই ভক্ষক, পুলিশই তথ্যপ্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করেছে, এই থানা রেখে লাভ নেই, তালা লাগিয়ে দেওয়া হোক।’
টালা থানার ওসির (RG Kar) পলিগ্রাফ টেস্ট করতে চেয়েছে সিবিআই। শুক্রবার শিয়ালদহ আদালতে টালা থানার ওসিকে তোলা হলে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ২৩ তারিখে জানা যাবে টালা থানার ওসির পলিগ্রাফ টেস্ট হবে কি না। জানা গিয়েছে, টালা থানার প্রাক্তন ওসির কাছ থেকে জিজ্ঞাসাবাদে যে উত্তর পাওয়া গিয়েছে, সেখানে বেশ কিছু ধোঁয়াশা রয়েছে। সেই কারণেই এই পরীক্ষা করা হবে। অন্যদিকে, টালা থানার সিসিটিভির ফুটেজ ইতিমধ্যে সিবিআইয়ের হাতে এসেছে। সিএফএসএলে যে সমস্ত ফুটেজ পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে, আগামী ১-২ দিনের মধ্যে তার রিপোর্ট আসবে। সিবিআই জানিয়েছে, সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডলকে ফুটেজ সংক্রান্ত বিশেষ কিছু জিজ্ঞাসা করার রয়েছে। এপাশে আরজি করের সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করা শেষ। সেখানে বেশ কিছু সন্দেহভাজনকে দেখতে পাওয়া গিয়েছে। যে সব সন্দেহভাজনকে দেখতে পাওয়া গিয়েছে, তাদের আরও জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের পর এবার শিয়াদহ আদালতে সিবিআই স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিল। সুপ্রিম কোর্টের মতো শিয়ালদহ আদালতেও মুখবন্ধ খামে স্টেটাস রিপোর্ট সিবিআই জমা দেয়।
মঙ্গলবার শুনানির একেবারেই শুরুতেই সুপ্রিম কোর্টে সিবিআই তাদের স্টেটাস রিপোর্ট জমা দেয়। পাশাপাশি সিবিআই জমা দেয় নির্যাতিতার বাবার লেখা একটি চিঠি। যেটি তিনি সিবিআইকে লিখেছিলেন। জানা গিয়েছে, সিবিআইকে নির্যাতিতার বাবা ১২ সেপ্টেম্বর চিঠিটি লিখেছিলেন। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন, নির্যাতিতার বাবা যে চিঠি দিয়েছেন সেই চিঠি গুরুত্ব সহকারে দেখা হয়। কারণ এর মধ্যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ লিড রয়েছে।