২০২৩ সালের মার্চ মাসে ছয় বছরের এক শিশুর দেহ উদ্ধার (Tiljala Case) ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। অভিযোগ ওঠে যৌন নির্যাতন করে শিশুটিকে (Tiljala Case) হত্যা করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, মৃত্যু নিশ্চিত করতে শিশুটির মাথায় (Tiljala Case) হাতুড়ি মারা হয়। এই ঘটনায় দোষীর ফাঁসির সাজা ঘোষণা করল আলিপুর আদালত (Tiljala Case) । মৃত শিশুর প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। তাঁকেই দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত বছরের মার্চ মাসে শিশু কন্যার দেহ উদ্ধার করা হয় প্রতিবেশীর (Tiljala Case) বাড়ি থেকে। হাত, পা, মুখ বাঁধা অবস্থায় তিলজলার ওই শিশুর দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ শুরু হয় তিলজলায়। ঘটনার নৃশংসতা প্রকাশ্যে (Tiljala Case) আসতেই সাধারণ মানুষের মনে বিক্ষোভের সৃষ্টি হয়। অলোক কুমার নামে ওই ব্যক্তি তিলজলা থানা (Tiljala Case) এলাকার শ্রীধর রায় রোডেরই বাসিন্দা। তাঁর ফ্ল্যাটের রান্নাঘরের সিলেন্ডারের পাশ থেকে ওই শিশুর দেহ উদ্ধার করা হয়। সেই সময় তিলজলার মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়েন। পুলিশের গাড়িকে লক্ষ্য করে ইঁট বৃষ্টি শুরু গয় সেদিন।
বুধবার আলিপুরের বিশেষ পকসো আদালত অলোক কুমারকে (Tiljala Case) দোষী সাব্যস্ত করে। অপহরণ, ধর্ষণ, অস্বাভাবিক যৌন নির্যাতনের মতো অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। আদালত (Tiljala Case) বলেন, “নিষ্ঠুরতম কাজ করেছেন আপনি। আপনি বিকৃত লালসার সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ সমস্ত অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছে। যে ৪৫ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন, সকলেই অলোক কুমারের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন।” বিচারক বলেন, “নিজের যৌন লালসার জন্য জোর করে ঘরে ঢোকানো হয় শিশুকে। দেওয়ালে মাথা ঠুকে, দুধরনের হাতুড়ি ব্যবহার করেন মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়।” বিচারক বলেন, এটা নিষ্ঠুর ঘটনা। এই ঘটনার কোনও ক্ষমা হয় না।
এদিন বিচারক বলেন, “আপনি একজন ডেলিভারি বয়। আপনারা গায়ে অনেক শক্তি। আপনি এক অসহায় বাচ্চার সঙ্গে যা করেছেন, তা প্রতিরোধ করার ক্ষমতা নেই। আপনি অমানবিক নিষ্ঠুর কাজ করেছেন, এই ধরনের অপরাধ খুব একটা দেখা যায় না। আপনারা উদ্দেশ্য ছিল, অপরাধ করে পালিয়ে যাওয়া। আপনাকে সংশোধনাগারে পাঠিয়ে সংশোধন করা যাবে না। এই অপরাধ বিরল নয়, বিরলতম, সাংঘাতিক ও নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ড।”