শুক্লা রায়চৌধুরী,কলকাতা: যোগ্যতা যতই থাকুক সেখানে মেলে না প্রাপ্য সম্মান। অভিনয় দিয়ে মাত করলেও বলিউডের প্রথম সারির অভিনেতা, অভিনেত্রী, প্রযোজক, পরিচালকদের ভিড়ে হারিয়ে যায় দক্ষ অভিনেতাদের অভিনয়। সদ্য এমনই এক উদাহরণ আবারও দেখা গেল বলিউডে। মহামারী করোনাভাইরাসের থেকেও ভয়ঙ্কর ভাইরাস নেপোটিজমের চক্করে চাপা পড়ে গেল অভিনয়ের প্রাপ্তি। এমনকি কাস্ট তালিকায় মিলল না প্রাপ্তি স্বীকার।
এই মুহূর্তে নেটিজেনদের সমালোচনার কেন্দ্র বিন্দু সুশান্ত সিংয় রাজপুতের বহু প্রতীক্ষিত শেষ ছবি ‘দিল বেচারা’। এই সিনেমার অন্যতম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় ও স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। অথচ ডিজনি প্লাস হটস্টারে এই ছবির কাস্ট হিসাবে নামই নেই দুজনের।
আবার এমন দুই অভিনেতার নাম কাস্ট তালিকায় আছে যাঁরা কেউই অভিনয়ই করেননি ছবিতে। জাভেদ জাফরি এবং মিলিন্দ কুনাজির নাম রয়েছে ছবির কাস্ট হিসাবে।যদিও সেই নিয়ে সন্দেহ প্ৰকাশ করেছেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় নিজেই। টুইট করে এই সন্দেহের কথা জানান অভিনেত্রী।
অন্যদিকে, ছবিতে ক্যামিও রোলে অভিনয় করেছিলেন সইফ আলি খান। মাত্র কিছু সময়ের জন্য দেখা গিয়েছিল তাঁকে। কিন্তু সইফকে মূল চরিত্রের মতোই ক্রেডিট দেওয়া হয়েছে। কিন্তু অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেও প্রাপ্তি পেলেন না শাশ্বত ও স্বস্তিকা।
এই প্রাপ্তি না পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন নেটিজেনরা। অনেকে বলছেন, এটাই বলিউডের নেপোটিজমের উদাহরণ। সেই কারনেই বাংলার দুজন অসাধারন অভিনেতা অভিনেত্রীকে দেওয়া হয়নি তাঁদের প্রাপ্য সম্মান।
প্রসঙ্গত, ছবিতে কিজি বাসু অর্থাৎ সঞ্জনা সাঙ্ঘির বাবা মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় এবং স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। তাঁদের দক্ষ অভিনয় গুণে মাতিয়ে রেখেছে পুরো সিনেমা জুড়ে। প্রশংসা কুড়িয়েছে দর্শকদের।