রাম নগরীর মানুষ আজ এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের (Diwali in Ayodhya) সাক্ষী হবেন। রাম কি পৌড়ির ৫৫টি ঘাটে একযোগে ২৫ লক্ষ প্রদীপ জ্বালানো হবে। এর পাশাপাশি ১১০০ সাধু-সন্ত এবং বেদচার্যরা মুখ্যমন্ত্রী যোগীর উপস্থিতিতে সরযূ তীরে মহা আরতি করবেন। এই দুটি কর্মসূচির মাধ্যমে ২টি নতুন বিশ্ব রেকর্ড স্থাপন করা হবে। সন্ধ্যায় ভগবান শ্রীরামের আগমনের জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। রাম মন্দিরের সাজসজ্জায় বিভিন্ন জায়গায় তোরণের দরজা তৈরি করা হয়েছে। দীপোৎসবের পর শহরে ট্যাবলোও বের করা হবে।
দীপোৎসবের (Diwali in Ayodhya) জন্য অনুশীলনও করা হয়েছে। সরযূ আরতির সমন্বয়কারী শশীকান্ত দাস বলেন, ভগবান শ্রীরাম তাঁর ভবনে অধিষ্ঠিত হওয়ার পর এটি প্রথম এবং মোট অষ্টম দীপোৎসব। আজ সন্ধ্যায় ২৫ লক্ষ প্রদীপ জ্বালিয়ে এটি গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নথিভুক্ত করা হবে। দীপোৎসব উপলক্ষে রামের শহরকে জাঁকজমকের সঙ্গে সাজানো হয়েছে। ২০০টিরও বেশি মঠ ও মন্দিরে প্রদীপ জ্বালানো হবে।
সমন্বয়কারী বলেন, প্রতিদিন ৫১০০ প্রদীপের আরতি হয়। আজ একই সময়ে ১১০০ পুরোহিত মাতা সরযু-র আরতি করবেন। এটি একটি বিশ্ব রেকর্ড হবে। এর আগে এত বিপুল সংখ্যক সাধু-সন্ত কখনও যৌথ আরতি করেননি। কিছু বিশিষ্ট ব্যক্তিও এই মহা আরতির (Diwali in Ayodhya) অংশ হবেন। দুপুর ২.২০ টার দিকে রামকথা পার্কে পৌঁছবেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি প্রায় ২০ ঘন্টা শহরে থাকবেন। পরের দিনই তিনি গোরক্ষপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন।
অনুষ্ঠান শুরু হবে সকাল ৯টায়। বারানসি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একটি শোভাযাত্রা বের করা হবে। এই পর্বের ভগবানের স্বরূপও দুপুর ২.৪০ টায় পার্কে পৌঁছাবে। আরতির (Diwali in Ayodhya) পর ভগবান রামের রাষ্ট্রীয় পূজা করা হবে। বিকেল ৫.৫৫ টা পর্যন্ত পার্কে অনেক অনুষ্ঠান হবে। এর পরে, সরযূ আরতিতে অংশ নেওয়ার পরে, সিএম যোগী সন্ধ্যা ৬.৩০ টার দিকে দীপোৎসব কর্মসূচিতে যোগ দিতে পৌঁছে যাবেন।
একই সময়ে, এই অনুষ্ঠানের আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শত শত মহিলা মা সরযু-র আরতি করেন। ২০১৭ সালে দীপোৎসব শুরু হয়। সেই সময় ১.৭১ লক্ষ প্রদীপ জ্বালানো হয়েছিল। ২০১৮ সালে ৩.০১ লক্ষ প্রদীপ জ্বালানো হয়েছিল। ২০১৯ সালে ৪.০৪ লক্ষ, ২০২০ সালে ৬.০৬ লক্ষ, ২০২১ সালে ৯.৪১ লক্ষ, ২০২২ সালে ১৫.৭৬ লক্ষ, ২০২৩ সালে ২২.২৩ লক্ষ প্রদীপ জ্বালানো হয়েছে। এবার ২৫ লক্ষ প্রদীপ জ্বালানো হবে।