নৈহাটি উপনির্বাচনে(Naihati By Election) বিজেপি প্রার্থী রূপক মিত্রের শেষ বেলায় প্রচারে বেড়িয়ে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন ব্যারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিং (Arjun Sing)। রাজ্য বিজেপির সভাপতি ডক্টর সুকান্ত মজুমদারকে রাজ্য নির্বাচন কমিশন শো’কজ করেন। এই ব্যাপারে ব্যারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন (Arjun Sing) বাবুকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বিস্ফোরক মন্তব্য করে বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন এখানে ঠুঁটো জগন্নাথ’।
বুধবার সকাল থেকেই শুরু হবে রাজ্যের ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের(Naihati By Election) ভোটদান পর্ব। সেইমত আজই ছিল নির্বাচনী প্রচারের শেষ দিন আর শেষ দিনের বিকেলে নৈহাটি সাহেব কলোনী মোড় থেকে এক সুবিশাল মিছিল শুরু হয় বিজেপি প্রার্থী রুপক মিত্রের সমর্থনে। এদিনের মিছিলে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি ডঃ সুকান্ত মজুমদার, রাজ্য মহিলা মোর্চা সভানেত্রী ফাল্গুনী পাত্র, প্রাক্তন বিধায়ক তথা রাজ্য নেতা তাপস রায়, ব্যারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিং, চাকদহের বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ সহ রানাঘাট উত্তর দক্ষিণের বিধায়ক অসীম বিশ্বাস এবং বিজেপির ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি মনোজ ব্যানার্জি ও মুখপাত্র আবিষ্কার ভট্টাচার্য সহ অন্যান্য নেতৃত্ব।
রাজ্য বিজেপির সভাপতি ডক্টর সুকান্ত মজুমদারকে রাজ্য নির্বাচন কমিশন শো’কজ করেন। এই ব্যাপারে ব্যারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন (Arjun Sing) সিংকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “ইলেকশন কমিশন পশ্চিমবাংলায় এসে যারা ইলেকশন কমিশন বা আইন মেনে ভোট করে তাদেরকেই শোকজ করেন নোটিশ দেন। যারা বুথ দখল করে বুথ লুট করে যারা গুন্ডাদেরকে নিয়ে ভোট করে তাদের কোনো ইলেকশন কমিশন নেই।”
“এর আগে কলকাতার মানিকতলায় যখন বাই ইলেকশন (Naihati By Election) হয়েছিল, আমি দেখিয়ে দিয়েছিলাম যে একজন ওয়েবকাষ্ট এ ভোট দিয়ে যাচ্ছেন, ইলেকশন কমিশন যিনি পশ্চিমবাংলায় ভারপ্রাপ্ত অফিসার আছেন উনি কি অ্যাকশান নিয়েছেন? ইলেকশন কমিশন এখানে ঠুঁটোজগন্নাথ আছেন কিচ্ছু করতে পারেন না। নাথিং নাথিং কিচ্ছু না। যে এসওপি তৈরি করেছে বাংলার মানুষ ভোট দিতে পারে না। তারা বুথ দখল করে লোকাল পুলিশ আর গুন্ডাদের নিয়ে। আজকে যারা ভাল কাজ করবেন, যারা আইন মেনে রাজনীতি করবেন, যারা আইন মেনে ইলেকশন করবেন তাদেরকে শো’কজ করবেন আর যখন ভোট লুট হবে মানুষ খুন হবে বিকেলবেলা একটা বিবৃতি আসবে, খুব শান্তভাবে একটা ভোট প্রক্রিয়া শেষ হল। এই রাজনীতি আমরা দেখি আসছি পশ্চিমবাংলায়।”