তৃণমূলের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Bandyopadhyay) নাবালিকা মেয়েকে কুরুচিকর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে পুলিশ দুই তরুণীকে গ্রেফতার করে (Supreme Court)। পুলিশি হেফাজতে ওই দুই তরুণীকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে সিবিআই(CBI) তদন্তের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। যদিও সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) হাইকোর্টের সেই নির্দেশকে বাতিল করে দিয়েছে। রাজ্য পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল এই মামলার তদন্ত করবে বলে নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত (Supreme Court)।
সুপ্রিম কোর্টের(Supreme Court) তরফে জানানো হয়েছে, হাইকোর্টের নজরদারিতে এই তদন্ত হবে। কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে এর জন্যে একটি বেঞ্চ গঠনের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সেই বেঞ্চই এই তদন্তের প্রকৃতি নজরদারি করবো। অবশ্য, রাজ্য পুলিশ ব্যর্থ হলে সিবিআই (CBI) তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হবে বলেও আজ পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। প্রসঙ্গত, এর আগের শুনানিতে রাজ্য সরকারের কাছে সিট গঠনের জন্য সুপ্রিম কোর্ট সাত আইপিএস সদস্যের নাম চেয়েছিল। বাংলার ক্যাডারের যে সব অফিসার ভিনরাজ্যে নিযুক্ত, সেরকম আধিকারিকদের নাম চেয়েছিল শীর্ষ আদালত। সুপ্রিমকোর্ট (Supreme Court) সাফ জানিয়েছিলেন, এই আইপিএস অফিসারদের তালিকায় পাঁচ মহিলা অফিসার থাকতে হবে। সেই প্রেক্ষিতে আইপিএস অফিসারদের তালিকা রাজ্য সুপ্রিম কোর্টে জমা দেওয়া হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, উল্লেখ্য, আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে আয়োজিত এক মিছিল থেকে অভিষেকের(Abhishek Bandyopadhyay) নাবালিকা কন্যাকে উদ্দেশ করে ২ জন তরুণী অশালীন মন্তব্য করেন। সেই ভিডিও ভাইরাল হয়। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে এক মহিলা ডায়মণ্ড হারবার থানায় ওই দুই তরুণীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ওই দুই তরুণীকে গ্রেফতার করা হয়।
অভিযোগ, এরপর ডায়মণ্ড হারবারে পুলিশ হেফাজতে তাঁদের বেধড়ক মারধর করা হয়। পুলিশের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ এনে দুই তরুণী অভিযুক্ত হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। হাইকোর্ট এই বিষয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল। হাইকোর্টে পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন দুই তরুণী। পুলিশকে হাইকোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয়।