এর আগে পাকিস্তানি শিল্পীদের ভারতে অনুষ্ঠানে বয়কটের ডাক দেওয়া নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল। এবার নতুন করে বাংলাদেশী (Bangladesh) শিল্পীদের ভারতে অনুষ্ঠানের বয়কটের আওয়াজ উঠল। ভারতের পতাকা অপমানের পর এবার বাংলাদেশের (Bangladesh) শিল্পীদের বয়কটের ডাক উঠল। বাংলাদেশের (Bangladesh) শিল্পীদের বয়কটের ডাক দিয়েছে বিজেপি। তবে এর বিপরীত মন্তব্য তৃণমূলের (Bangladesh) তরফে পেশ করা হয়েছে।
টলিউডে বাংলাদেশের একাধিক অভিনেতা-অভিনেত্রী দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন। এছাড়াও সঙ্গীতশিল্পীরাও বাংলায় এসে অনুষ্ঠান করে যান। কয়েকদিন আগেই বাংলাদেশের সঙ্গীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার মধ্যগ্রামে গাইতে আসার কথা ছিল। যদিও বাংলাদেশ বিরোধিতার জেরে তা বাতিল হয়ে যায়।
বাংলাদেশের শিল্পীদের বয়কট প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘এই মুহূর্তে বয়কট করতে হবে ওপার বাংলার শিল্পীদের। বাংলাদেশের শিল্পীদের এদেশে আসা থেকে আটকাতে হবে। প্রতিবাদ করতে হবে। প্রসেনজিৎ চক্রবর্তী, গৌতম ঘোষরা কেন প্রতিবাদ করছেন না? এটা কোনো রাজনীতি নয়, তবে বাংলাদেশের ঘটনার প্রতিবাদ আমাদের সবাইকে করতেই হবে।’
তবে এই বিষয়ে ভিন্নমত পোষন করে তৃণমূল। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘বাংলাদেশের সবাই তো আমাদের শত্রু নয়। কিছু অশুভ লোক ঝামেলা পাকানোর চেষ্টা করছে। এই অবস্থায় ভারতের কোনো শিল্পী যদি বাংলাদেশের মানুষকে গান শোনাতে চায় বা আমাদের বাংলার শিল্পী বাংলাদেশের মানুষকে গান শোনাতে চায়, আর দর্শকও গান শুনতে প্রস্তুত থাকে, তাহলে আমরা কেন আটকাব। কেন এসব অশুভ ঘটনার সঙ্গে সংস্কৃতিকে জড়াব। বাংলাদেশ একটি আন্তর্জাতিক ইস্যু, তাই সেটা নিয়ে তাঁর কিছু করার নেই। এমনকী, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সেকথা বলেছেন। তবে কুণালের অভিযোগ, বাংলাদেশের মৌলবাদীদের করা এই কাজগুলো নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে। হিন্দু ভাবাবেগকে কাজে লাগিয়ে, ধর্মীয় ভেদাভেদ তৈরির চেষ্টা করছে বিজেপি। ’
তিনি বলেন, কয়েক দশক ধরে ওপারের শিল্পীরা এপারে এসে কাজ করছেন। এর ফলে একটা আত্মীয়তার সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। এই উত্তাল পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের শিল্পীদের বয়কট তাঁর কাছে যুক্তি সঙ্গত লাগেনি।










