মুকেশ আম্বানি এবং গৌতম আদানি (Ambani-Adani) ভারতের সবচেয়ে ধনী ব্যবসায়ীদের মধ্যে রয়েছেন। ২০২৪ সালটি এই দুই শিল্পপতির জন্য অর্থনৈতিক সমস্যায় পূর্ণ ছিল। ব্লুমবার্গের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুসারে, রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানি এবং আদানি (Ambani-Adani) গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি এখন ১০০ বিলিয়ন ডলারের ক্লাব থেকে বেরিয়ে এসেছেন। সাম্প্রতিক মাসগুলিতে এই জুটির সম্পদের ব্যাপক হ্রাস কেবল তাদের ক্লাব থেকে বের করে দিতে বাধ্য করেনি, তাদের ব্যবসায়িক সাম্রাজ্যের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জও ছুঁড়ে দিয়েছে।
মুকেশ আম্বানির সম্পদের মূল্য কমছে কেন?
২০২৪ সালের জুলাইয়ে মুকেশ আম্বানির (Ambani-Adani) সম্পদের পরিমাণ ছিল ১২০.৮ বিলিয়ন ডলার, যা এখন ডিসেম্বর মাসে প্রায় ৯৬.৭ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের খুচরো ও জ্বালানি বিভাগের দুর্বল পারফরম্যান্স এবং ক্রমবর্ধমান ঋণের কারণে এই পতন ঘটেছে।
কোম্পানির ব্যবসা সম্প্রসারণ নিয়ে আম্বানির বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে। তাঁর সম্পদের এই স্তরটি জুলাই মাসে তাঁর পুত্র অনন্ত আম্বানির বিয়ের সময়ের তুলনায় প্রায় ২৪ বিলিয়ন ডলার কম।
Indian tycoons Ambani and Adani have tumbled out of the elite centibillionaires club. Here’s the outlook for their fortunes. https://t.co/BQGIVHdg4X
— Bloomberg Wealth (@wealth) December 15, 2024
গৌতম আদানির অবস্থা আশঙ্কাজনক
মার্কিন বিচার বিভাগের (ডিওজে) তদন্ত এবং হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ রিপোর্ট গৌতম আদানির (Ambani-Adani) সম্পদ হ্রাসের পিছনে প্রধান অবদানকারী। হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টে জালিয়াতির অভিযোগ আদানি গ্রুপের ভাবমূর্তির অনেক ক্ষতি করেছে। ২০২৪ সালের জুনে আদানীর সম্পদ ছিল ১২২.৩ বিলিয়ন ডলার, যা এখন নভেম্বর মাসে মাত্র ৮২.১ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। এই পতন আদানীকে ব্লুমবার্গের “শত কোটিপতি ক্লাব” থেকে বের করে দিয়েছে।
ভারতের টেলিকম সেক্টরে চাপ
ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে ভারতের টেলিকম সংস্থাগুলির জন্য সম্ভাব্য হুমকির কথাও বলা হয়েছে। মার্কিন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতি এবং ইলন মাস্কের কোম্পানি স্টারলিঙ্কের ভারতে প্রবেশ টেলিকম সেক্টরে নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে।
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী পরিবার
ওয়ালমার্টের ওয়ালটন পরিবার ৪৩২.৪ বিলিয়ন ডলার সম্পদের সাথে তালিকার শীর্ষে রয়েছে। মুকেশ আম্বানি এই তালিকায় অষ্টম স্থানে রয়েছেন, অন্যদিকে আদানি এই তালিকা থেকে বাদ পড়েছে।
সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিতে হবে
মুকেশ আম্বানি এবং গৌতম আদানির (Ambani-Adani) সম্পদের পতন ভারতীয় শিল্পের জন্য একটি টার্নিং পয়েন্ট হিসাবে প্রমাণিত হতে পারে। বিনিয়োগকারী এবং শিল্প বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে, উভয় শিল্পপতিদেরই তাদের ব্যবসায়িক সাম্রাজ্যকে স্থিতিশীল করতে কৌশলগত পদক্ষেপ নিতে হবে।