আরজি কর কাণ্ডে অন্যতম দুই অভিযুক্ত সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডলের জামিন হওয়ার (Calcutta High Court) পর থেকে নতুন করে শহর কলকাতায় প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। নতুন করে ধর্মতলা চত্বরে জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশ ধরনায় বসতে চায় (Calcutta High Court)। কলকাতা পুলিশ এই বিষয়ে অনুমতি দেয়নি। কিন্তু বুধবার অবশেষে হাইকোর্ট (Calcutta High Court) থেকে মিলল অনুমতি। ১৮ থেকে ২৬ ডিসেম্বর চৌরঙ্গী রোডে চলবে এই কর্মসূচি (Calcutta High Court)। অন্যদিকে, সিবিআই-এর ওপর আস্থা হারিয়েছে আরজি করে নির্যাতিতার বাবা-মা। হাইকোর্টে পুনরায় তদন্তের জন্য মামলার (Calcutta High Court) আবেদন করেছেন নির্যাতিতার বাবা-মা। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে মামলার অনুমতি দিয়েছেন হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ।
আরজি করে সিবিআইয়ের তদন্তের ভূমিকা নিয়ে ক্রমেই অসন্তোষ বাড়ছিল। শুক্রবার সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দিতে পারেনি সিবিআই। তার জেরে আরজি করের প্রাক্তন প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার অপসারিত ওসি অভিজিৎ মণ্ডল জামিন পেয়ে যায়। ঘটনার পর ফের রাস্তায় নামেন চিকিৎসক মহলের একাংশ। তাঁদের পাশাপাশি নাগরিক সমাজের একাংশ রাস্তায় নামেন। সিবিআই-কে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দেওয়ার দাবিতে ধর্মতলায় ধরনায় বসার সিদ্ধান্ত নেন ওয়েস্ট বেঙ্গল জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরস। ১৮ থেকে ২৬ ডিসেম্বর ধর্মতলার ডোরিনা ক্রসিংয়ে অস্থায়ী বিক্ষোভ মঞ্চ তৈরি করতে চান সংগঠনের সদস্যরা।
এই আবেদন জানিয়ে কলকাতা পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মাকে মেল করেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। কিন্তু সেখানে পুলিশের অনুমতি মেলেনি। বাধ্য হয়েই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশ।
আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় সোমবার আদালতে সাক্ষী দিলেন সিবিআইয়ের তদন্তকারী এক অফিসার। শিয়ালদা অতিরিক্ত দায়রা বিচারকের আদালতে আরজি কর কাণ্ডে প্রথম কোনও সিবিআই তদন্তকারী আধিকারিক সাক্ষ্য দিলেন। প্রসঙ্গত, আরজি কর মামলায় মোট সাক্ষীর সংখ্যা ৫১। ৫০ তম সাক্ষী হিসেবে আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন সিবিআই অফিসার। ৫১ তম সাক্ষী দেবেন আরজি কর কাণ্ডের প্রধান অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়।