পশ্চিমবঙ্গ সহ ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাংলাদেশী (Bangladesh) জঙ্গিদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। গ্রেফতার হওয়া বাংলাদেশি (Bangladesh) জঙ্গিদের কাছ থেকে পাওয়া যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের জাল পরিচয়পত্র। যা কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ আরও গভীর করেছে। নতুন করে গ্রেফতার হওয়া আরও এক বাংলাদেশি (Bangladesh) জঙ্গির কাছ থেকে পাওয়া গিয়েছে জাল পরিচয় পত্র। যেখানে ঠিকানা রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের। আদালতে এমনটাই জানালেন NIA-এর গোয়েন্দা আধিকারিকরা (Bangladesh) ।
আদালতে NIA একটি রিপোর্টে জানিয়েছে, অসম পুলিশের STFএর অভিযানে গ্রেফতার হয় বাংলাদেশি জঙ্গি সংগঠন আনসারইল বাংলার অন্যতম শীর্ষনেতা সইফুল। সইফুল আদতে বাংলাদেশের নারায়নগঞ্জের বাসিন্দা। ধৃতের কাছ থেকে ভারতের পরিচয়পত্র পাওয়া গিয়েছে। পাওয়া গিয়েছে আধার কার্ড। সেই আধারকার্ড তৈরি হয়েছে মুর্শিদাবাদে বলে জানা গিয়েছে। NIA-এর আধিকারিকরা জানিয়েছেন, সইফুল মুর্শিদাবাদ সীমান্ত দিয়েই ভারতে প্রবেশ করেছিল। আরবি শিক্ষকের পরিচয় দিয়ে ভারতে বাস করছিলেন।
এর আগে শাদ রাদিকে আসাম পুলিশ কেরল থেকে গ্রেফতার করে। ধৃত জঙ্গি বাংলাদেশের রাজশাহীর বাসিন্দা। তার কাছ থেকে শুধু ভারতের পরিচয়পত্র পাওয়া যায়নি, সে মুর্শিদাবাদে আস্ত একটা বাড়ি তৈরি করে ফেলেছিলেন। তার কাছে ভারতের প্রায় সমস্ত পরিচয়পত্র যেমন ভোটার কার্ড, আধার কার্ড, পাসপোর্ট রয়েছে। রাদির দুই সহযোগীকেও আসাম পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। তারা যারা রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বেআইনি মাদ্রাসা খুলে কিশোর – কিশোরীদের মনে ইসলামিক চরমপন্থার বিষ ছড়াচ্ছিল।
একের পর এক বাংলাদেশি জঙ্গিদের কাছ থেকে পশ্চিমবঙ্গের তৈরি নথি উদ্ধা হওয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা মনে করেছেন, পশ্চিমবঙ্গের বিস্তীর্ণ সীমান্ত এলাকা বর্তমানে বাংলাদেশের জঙ্গিদের হাবে পরিণত হয়েছে। সেখান থেকেই ভারতে অস্থিরতা তৈরির পরিকল্পনা করা হচ্ছে। NIA-এর এই তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই যথেষ্ঠ অস্বস্তিতে পশ্চিমবঙ্গ। যদিও সম্প্রতি কলকাতার মেয়র তথা পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, পশ্চিমঙ্গে কোনও বাংলাদেশি জঙ্গির অনুপ্রবেশ ঘটেনি। এই মন্তব্য নতুন করে ফিরহাদ হাকিমকে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে এসেছে।