প্রতি বছরের মতো এবারেও দক্ষিণেশ্বর (Dakshineswar) ও কাশীপুর উদ্যানবাটিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে কল্পতরু উৎসব। সকাল থেকেই দক্ষিণেশ্বর (Dakshineswar) ও কাশীপুর উদ্যানবাটিতে ভক্তদের ঢল নেমেছে। এদিন মঙ্গলারতি হবে কাশীপুর উদ্যানবাটিতে (Dakshineswar) । সারাদিন ধরে চলবে পুজোপাঠ (Dakshineswar) । রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের জীবন ও বাণী নিয়ে আলোচনা হবে (Dakshineswar) । পাশাপাশি বেলুড়মঠ, কালীঘাট, তারাপীঠেও ভক্তদের ঢল নেমেছে।
প্রতিবছর দক্ষিণেশ্বর ও কাশীপুর উদ্যানবাটিতে ভক্তদের সমাগম হয়। কল্পতরু উৎসবের কারণে বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়। এবছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। কাশীপুর উদ্যানবাটি ও দক্ষিণেশ্বরে হচ্ছে পূজাপাঠ। মঙ্গলবার রাত থেকেই ভক্তদের সমাগম হতে থাকে। বুধবার সকালে মন্দিরের বাইরে ফুলের ডালা হাতে ভক্তদের লম্বা লাইন চোখে পড়েছে। রামকৃষ্ণ দেব কল্পতরু উৎসবের সূচনা করেন। সেই সময় রামকৃষ্ণ দেবের কাছ থেকে যা চাওয়া হতো, তাই পাওয়া যেতো। এখনও ভক্তদের মধ্যে বিশ্বাস রয়েছে, রামকৃষ্ণ দেবের কাছে যা চাওয়া হবে, তাই পাওয়া যাবে। সেই বিশ্বাস থেকেই মন্দিরে ভিড় জমতে শুরু করেছে বুধবার সকাল থেকেই।
কল্পতরু উৎসবের সূচনা হয় ১৮৮৬ সালের ১ জানুয়ারিতে। সেই সময় রামকৃষ্ণদেব ক্যানসারে গুরুতর অসুস্থ ছিলেন। চিকিৎসার জন্য তাঁকে কাশীপুর উদ্যানবাটিতে নিয়ে আসা হয়। এই দিন সকালে তিনি একটু সুস্থ বোধ করছিলেন। সেই কারণে তিনি হাঁটতে বেরিয়েছিলেন। সঙ্গে ছিলেন তাঁর পরম ভক্ত বিখ্যাত নাট্যকার গিরীশচন্দ্র ঘোষ। সেই সময় রামকৃষ্ণ দেব তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন, “তোমার কী মনে হয়… আমি কে?” তিনি বলেন, ‘মানবকল্যাণের জন্য মর্ত্যে অবর্তীণ ইশ্বরের অবতার।’ এর পর কাশীপুর উদ্যানবাটিতে ভক্তদের নিজের স্বরূপে দর্শন দেন রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব। আর্শীবাদ করেন, ‘তোদের চৈতন্য হোক।’ভক্তরা বলেন, সেদিন হিন্দু পুরাণে বর্ণিত কল্পতরু হয়েছিলেন ঠাকুর। রামকৃষ্ণের সেই রূপের সাক্ষী ছিলেন তাঁর গৃহী ভক্তেরা। সেই থেকে প্রতি বছর ১ জানুয়ারি কল্পতরু উৎসব হয় কাশীপুর উদ্যানবাটি ও দক্ষিণেশ্বরে।