রেশন দুর্নীতি মামলায় তদন্তের ধীরগতি এবং পদ্ধতি নিয়ে ফের প্রশ্নের মুখে ইডি (ED)। আদালতে বাজেয়াপ্ত নথিপত্র ও দুর্নীতির সত্যতা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তোলেন বিচারক (ED)। বিশেষ করে, গ্রেপ্তার হওয়া তৃণমূল নেতা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কাছ থেকে পাওয়া একটি চিরকূট নিয়ে তদন্তকারী সংস্থার (ED) ভূমিকা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন তিনি।
ইডি দাবি করেছিল, গ্রেপ্তারির পর এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি থাকা অবস্থায় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কাছ থেকে একটি চিরকূট উদ্ধার হয়। ইডি-র দাবি, সেই চিরকূটে রেশন দুর্নীতি থেকে হওয়া আর্থিক লেনদেনের উল্লেখ ছিল। কিন্তু আদালতে বিচারকের প্রশ্ন, “আপনারা এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ নথি বাজেয়াপ্ত করেননি? যেখানে আর্থিক লেনদেনের তথ্য থাকার দাবি করছেন, সেটি নথিভুক্ত না করলে কীভাবে প্রমাণ করবেন?” তিনি আরও বলেন, “মুখে বললে হবে না। গোটা মামলাই এমন এক নথির উপর নির্ভর করছে, যা বাজেয়াপ্ত হিসেবে দেখানো হয়নি।” ইডি তাদের জবাবে বলে, “আমরা তো সুপারম্যান নই।” কিন্তু বিচারক তাতেও সন্তুষ্ট না হয়ে পালটা বলেন, “সুপারম্যান নয়, যুক্তিবাদী হতে বলেছি।”
বিচারক আরও প্রশ্ন তোলেন রেশন দুর্নীতি নিয়ে। তাঁর কথায়, “আপনারা বলছেন রেশন দুর্নীতি, কিন্তু এ নিয়ে কেউ অনাহারে মারা গেছেন বা কোনো বড় অভিযোগ করেছেন এমন কিছু দেখাতে পারেননি। যে ৬টি এফআইআর হয়েছে, সেগুলো বড় দুর্নীতির প্রমাণ দেয় না।” তিনি ইডি-কে মনে করিয়ে দেন, “যদি রেশন দুর্নীতির বড় র্যাকেটের কথা বলেন, তাহলে তার প্রমাণ দিতে হবে। অনাহারে মৃত্যু বা রেশন থেকে বঞ্চনার অভিযোগ না থাকলে এই ধরনের দাবি প্রতিষ্ঠা করা কঠিন।”
বিচারক তদন্তের ধীরগতির প্রসঙ্গ তুলে বলেন, “আপনাদের কাজ সঠিক প্রমাণ নিয়ে এগোনো। এটি এমন একটি মামলা, যেখানে দুর্নীতির কোনো কার্যকর প্রভাব সাধারণ মানুষের ওপর দেখা যাচ্ছে না। তাহলে এতদিন ধরে তদন্ত কেন?” এই মামলায় ইডি-র ভূমিকা নিয়ে কড়া প্রশ্ন তোলা হলেও, তদন্তের ভবিষ্যৎ কোন পথে এগোবে, তা এখনও পরিষ্কার নয়। আদালতের বক্তব্যে স্পষ্ট, শুধু দাবি নয়, প্রমাণ এবং স্বচ্ছতা ছাড়া কোনো মামলাই টেকসই নয়।
রেশন দুর্নীতি মামলায় তদন্তের ধীরগতি এবং পদ্ধতি নিয়ে ফের প্রশ্নের মুখে ইডি (ED)। আদালতে বাজেয়াপ্ত নথিপত্র ও দুর্নীতির সত্যতা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তোলেন বিচারক (ED)। বিশেষ করে, গ্রেপ্তার হওয়া তৃণমূল নেতা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কাছ থেকে পাওয়া একটি চিরকূট নিয়ে তদন্তকারী সংস্থার (ED) ভূমিকা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন তিনি।
ইডি দাবি করেছিল, গ্রেপ্তারির পর এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি থাকা অবস্থায় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কাছ থেকে একটি চিরকূট উদ্ধার হয়। ইডি-র দাবি, সেই চিরকূটে রেশন দুর্নীতি থেকে হওয়া আর্থিক লেনদেনের উল্লেখ ছিল।
কিন্তু আদালতে বিচারকের প্রশ্ন, “আপনারা এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ নথি বাজেয়াপ্ত করেননি? যেখানে আর্থিক লেনদেনের তথ্য থাকার দাবি করছেন, সেটি নথিভুক্ত না করলে কীভাবে প্রমাণ করবেন?” তিনি আরও বলেন, “মুখে বললে হবে না। গোটা মামলাই এমন এক নথির উপর নির্ভর করছে, যা বাজেয়াপ্ত হিসেবে দেখানো হয়নি।” ইডি তাদের জবাবে বলে, “আমরা তো সুপারম্যান নই।” কিন্তু বিচারক তাতেও সন্তুষ্ট না হয়ে পালটা বলেন, “সুপারম্যান নয়, যুক্তিবাদী হতে বলেছি।”
বিচারক আরও প্রশ্ন তোলেন রেশন দুর্নীতি নিয়ে। তাঁর কথায়, “আপনারা বলছেন রেশন দুর্নীতি, কিন্তু এ নিয়ে কেউ অনাহারে মারা গেছেন বা কোনো বড় অভিযোগ করেছেন এমন কিছু দেখাতে পারেননি। যে ৬টি এফআইআর হয়েছে, সেগুলো বড় দুর্নীতির প্রমাণ দেয় না।” তিনি ইডি-কে মনে করিয়ে দেন, “যদি রেশন দুর্নীতির বড় র্যাকেটের কথা বলেন, তাহলে তার প্রমাণ দিতে হবে। অনাহারে মৃত্যু বা রেশন থেকে বঞ্চনার অভিযোগ না থাকলে এই ধরনের দাবি প্রতিষ্ঠা করা কঠিন।”
বিচারক তদন্তের ধীরগতির প্রসঙ্গ তুলে বলেন, “আপনাদের কাজ সঠিক প্রমাণ নিয়ে এগোনো। এটি এমন একটি মামলা, যেখানে দুর্নীতির কোনো কার্যকর প্রভাব সাধারণ মানুষের ওপর দেখা যাচ্ছে না। তাহলে এতদিন ধরে তদন্ত কেন?” এই মামলায় ইডি-র ভূমিকা নিয়ে কড়া প্রশ্ন তোলা হলেও, তদন্তের ভবিষ্যৎ কোন পথে এগোবে, তা এখনও পরিষ্কার নয়। আদালতের বক্তব্যে স্পষ্ট, শুধু দাবি নয়, প্রমাণ এবং স্বচ্ছতা ছাড়া কোনো মামলাই টেকসই নয়।