মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে নিষিদ্ধ স্যালাইন ব্যবহারের ফলে এক প্রসূতির মৃত্যু এবং আরও চারজনের অবস্থা সংকটজনক হওয়ার পর, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) অভিযোগ তুলেছেন যে, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের যোগ থাকতে পারে। শুক্রবার রানিগঞ্জে এক সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন, “নিশ্চই ভাইপোর কোনও কোম্পানি ওই স্যালাইন সরবরাহ করেছে।” শুভেন্দু অধিকারীকের (Suvendu adhikari) এই মন্তব্যে তৃণমূল যে অস্বস্তিতে পড়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
শুক্রবারের বক্তব্যের পর, শনিবার এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে শুভেন্দু অধিকারী পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাস্যুটিক্যালসের কর্তাদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছেন। তিনি দাবি করেন, সংস্থাটির ডিরেক্টরদের বিরুদ্ধে একাধিক ভুয়া সংস্থা পরিচালনার অভিযোগ রয়েছে এবং কঠোর নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও কীভাবে তারা স্বাস্থ্য দফতরকে পণ্য সরবরাহ করতে সক্ষম হয়েছে, তা তদন্তের দাবি জানান। তিনি ড্রাগ কন্ট্রোলার অফ ইন্ডিয়াকে গোটা ঘটনার তদন্ত করার অনুরোধ জানিয়েছেন।
এদিকে, স্বাস্থ্য দফতরের তদন্তকারী দল শনিবার মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে গিয়ে এই ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে।স্বাস্থ্যভবন ঘটনার গুরুত্ব বুঝে দ্রুত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। একটি বিশেষ তদন্ত কমিটি ইতিমধ্যেই মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ পরিদর্শনে গিয়েছে। স্যালাইনের নমুনা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে এবং পুরো প্রক্রিয়া ভিডিয়োগ্রাফি করা হয়েছে। চিকিৎসকদের যৌথ মঞ্চ “জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অব ডক্টর্স” এক বিবৃতিতে সাত দফা দাবি জানিয়ে বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি তুলেছে।
চিকিৎসক সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে- নিম্নমানের স্যালাইনের সব বোতল রোগী ও চিকিৎসক-নার্সদের উপস্থিতিতে বাজেয়াপ্ত করতে হবে। পুরো প্রক্রিয়া ভিডিয়োগ্রাফি করতে হবে। অবিলম্বে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করতে হবে। স্যালাইন সরবরাহকারী সংস্থার বিরুদ্ধে বিচারবিভাগীয় তদন্ত চালাতে হবে। রাজ্যের সমস্ত হাসপাতালের সরবরাহকৃত চিকিৎসা সামগ্রীর গুণমান নিরীক্ষা করতে হবে। বামপন্থী দল ও কংগ্রেস সরাসরি রাজ্যের স্বাস্থ্যব্যবস্থার গাফিলতির দিকে আঙুল তুলেছে। তাদের দাবি, বাতিল হওয়া স্যালাইন কীভাবে সরকারি হাসপাতালগুলিতে পৌঁছাল, তার ব্যাখ্যা দিতে হবে।