মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে স্যালাইন-কাণ্ডের (Saline Death) প্রেক্ষিতে কড়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। জুনিয়র চিকিৎসকদের ওটি রুমে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে(Saline Death) । এ বার থেকে অস্ত্রোপচার এবং অ্যানাস্থেসিয়া দেওয়ার প্রক্রিয়ায় কোনও পিজিটি যুক্ত থাকতে পারবেন না (Saline Death)। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ মৌসুমি নন্দী এ বিষয়ে একটি নির্দেশিকা জারি করেছেন (Saline Death)।
অধ্যক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী, স্ত্রীরোগ, জেনারেল সার্জারি, অর্থোপেডিক, অপথ্যালমোলজি এবং ইএনটি বিভাগের প্রধানদের জানানো হয়েছে, জুনিয়র চিকিৎসকদের দিয়ে অস্ত্রোপচার করানো যাবে না। অস্ত্রোপচার করতে হবে সিনিয়র চিকিৎসক এবং এসআরদের। তবে এই সিদ্ধান্তে চিকিৎসা পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, শুধুমাত্র সিনিয়র চিকিৎসকদের দিয়ে অপারেশন সম্ভব হবে কি না।
স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, স্যালাইন-কাণ্ডে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের ওটি প্রোটোকল মানা হয়নি। অভিযোগ, প্রোটোকল অনুযায়ী সিনিয়র চিকিৎসকের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক হলেও ট্রেনি চিকিৎসকরাই পুরো দায়িত্ব সামলেছেন। মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ বলেছেন, “আমরা নির্দেশ দিয়েছিলাম যে ট্রেনি চিকিৎসকদের সিনিয়র চিকিৎসকদের অধীনে কাজ করতে হবে এবং ডিউটি রোস্টার মেনে চলতে হবে। তবে প্রাথমিক তদন্তে গাফিলতি ধরা পড়েছে।”
এরপরই মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ নির্দেশিকা জারি করে জানায়, নির্দেশ অমান্য করলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে বিবেচিত হবে। মুখ্যসচিবের অভিযোগের পর জুনিয়র চিকিৎসক ফ্রন্টের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি জারি করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, “আমরা আগেই আশঙ্কা করেছিলাম যে এই ঘটনাকে চিকিৎসায় গাফিলতি বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হবে। স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমের অধীনে পর্যাপ্ত ডাক্তার, অধ্যাপক, গ্রুপ ডি কর্মী এবং টেকনোলজিস্ট নিয়োগ হচ্ছে না। সেই কারণে বহু রোগী কলকাতার হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে বাধ্য হচ্ছেন। ব্ল্যাকলিস্টেড ওষুধ চালানোর অভিযোগও তুলেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা।”
তাঁরা আরও অভিযোগ করেন, “স্বাস্থ্যসচিবের আমলে একাধিক আর্থিক দুর্নীতি ও অপরাধের ঘটনা ঘটেছে। তাঁর নৈতিক ও যৌক্তিক অধিকার নেই ওই পদে থাকার। অবিলম্বে তাঁকে অপসারণ করতে হবে।”
এই নির্দেশিকাকে ঘিরে স্বাস্থ্য পরিষেবার মান এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সিনিয়র চিকিৎসকদের ওপর পুরো দায়িত্ব দেওয়া হলে কাজের চাপ বাড়বে বলে মত বিশ্লেষকদের। রাজ্যের চিকিৎসা পরিষেবায় এই সিদ্ধান্ত কী প্রভাব ফেলবে, তা সময়ই বলবে।