বিজেপি নেতা (BJP Leader) প্রিয়াঙ্কু পাণ্ডেকে গুলি কাণ্ডে বড় অগ্রগতি। মঙ্গলবার ভোরে তৃণমূল নেতা সোনু ওরফে মহম্মদ আমিনকে গ্রেফতার করল এনআইএ (BJP Leader)। এর আগে বিজেপি নেতাকে (BJP Leader) লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগে আমিনকে ২-৩ বার সমন পাঠানো হলেও তিনি তাতে সাড়া দেননি।
গত অগস্টে ভাটপাড়ায় প্রকাশ্য দিবালোকে বিজেপি নেতা এবং অর্জুন সিং ঘনিষ্ঠ প্রিয়াঙ্কু পাণ্ডের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। ঘটনায় প্রাণে বাঁচলেও চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। অভিযোগের আঙুল ওঠে সোনু ওরফে মহম্মদ আমিনের দিকে। এরপর তদন্তভার নেয় এনআইএ। তদন্ত শুরু হওয়ার পর থেকে এনআইএর চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন আমিন। একাধিকবার তাঁকে ধরতে অভিযান চালানো হলেও প্রত্যেকবারই তিনি পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। এমনকি, বাড়ি ঘিরে ফেলা হলেও পিছনের দরজা দিয়ে পালানোর অভিযোগ ওঠে।
মঙ্গলবার ভোর রাতে ফের আমিনের বাড়িতে অভিযান চালায় এনআইএ। এইবার বাড়ি ঘিরে ফেলার পর তাঁর পালানোর আর কোনও সুযোগ ছিল না। বাড়ি থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তদন্তকারীদের মতে, আমিনকে গ্রেফতার করায় গুলিকাণ্ডের পিছনে থাকা বড় ষড়যন্ত্রের হদিশ পাওয়া যেতে পারে। প্রিয়াঙ্কু পাণ্ডেকে খুনের ছক কে তৈরি করেছিল এবং কারা তাতে জড়িত, তা জানার চেষ্টা করবে এনআইএ। এই গ্রেফতারি ভাটপাড়া গুলিকাণ্ডের তদন্তে বড় মোড় আনতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল।
২৮ অগাস্ট বিজেপির ডাকা বাংলা বনধের সকালে ভাটপাড়ায় বিজেপি নেতা প্রিয়াঙ্কু পাণ্ডের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চলে। বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে গাড়ি লক্ষ্য করে ৭ – ৮ রাউন্ড গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। সেই সময় NIA তদন্তের দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কু। NIA সূত্রে খবর, ধৃতকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে চান তদন্তকারীরা। কার নির্দেশে প্রিয়াঙ্কুকে খুনের চেষ্টা হয়েছিল তা জানতে চান তারা। অভিযুক্তের গ্রেফতারিতে প্রিয়াঙ্কু বলেন, আমি প্রথম থেকেই বলছিলাম তৃণমূল আমাকে খুন করতে চায়। এই গ্রেফতারিতে সেটা স্পষ্ট হল।