জুনিয়র চিকিৎসক আসফাকুল্লা নাইয়ারের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলায় কেস ডায়েরি তলব করেছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এফআইআর দায়েরের পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিচারপতি (Calcutta High Court) তীর্থঙ্কর ঘোষ রাজ্যের তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তীর্থঙ্কর ঘোষ (Calcutta High Court) বলেন, এফআইআরের জন্য নূন্যতম তথ্য সংগ্রেহর প্রয়োজন ছিল।
সোমবার মামলার শুনানিতে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ মন্তব্য করেন, “MBBS হিসেবে তিনি প্র্যাকটিস করতে পারেন। কিন্তু এফআইআরের ন্যূনতম তথ্যসংগ্রহের প্রয়োজন ছিল। তদন্ত যেভাবে হয়েছে, তাতে আমি হতাশ।” তিনি আরও বলেন, “মামলাকারী নিজে রোগী নন। শুধুমাত্র অভিযোগ পেয়ে সত্তরেরও বেশি কেস রুজু করা হলো! অনেক ক্ষেত্রেই সাধারণ ডায়েরি (GD) করে বিষয়টি ফেলে রাখা হয়। কিন্তু এখানে এমন তাড়াহুড়ো কেন?”
আসফাকুল্লার আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য আদালতে বলেন, “এক ব্যক্তি অভিযোগ করেছেন, প্রশিক্ষণ চলাকালীন কীভাবে তিনি বেসরকারি চিকিৎসা চালাচ্ছেন। কিন্তু রোগীর তরফ থেকে কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি।”
রাজ্যের পক্ষ থেকে শীর্ষন্য বন্দ্যোপাধ্যায় যুক্তি দেন, “আসফাকুল্লা নাইয়ার আরজি করের প্রতিবাদী মুখ ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে ভুল চিকিৎসার কোনও অভিযোগ নেই। কিন্তু এমএস (ENT) পরিচয় দিয়ে তিনি রোগী দেখেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।” বিচারপতি প্রশ্ন করেন, “সিজার লিস্টে কি প্রমাণ রয়েছে যে তিনি এই অতিরিক্ত কোয়ালিফিকেশনের ভিত্তিতে রোগী দেখেছেন? প্রেসক্রিপশন ছাড়া কীভাবে এফআইআর রুজু করলেন?”
সম্প্রতি, আসফাকুল্লাকে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল থেকে শোকজ নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। অভিযোগ, পিজিটি হয়েও এমএস পরিচয়ে চিকিৎসা করছিলেন তিনি। সাত দিনের মধ্যে তাঁকে জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এর মধ্যেই বিধাননগর পুলিশ তাঁর কাকদ্বীপের বাড়িতে তল্লাশি চালায়, যা নিয়ে বিতর্ক আরও তীব্র হয়। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ মামলার তদন্তে সন্তুষ্ট নন এবং কেস ডায়েরি তলব করেছেন। পরবর্তী শুনানি হবে বুধবার।