প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় নতুন করে সামনে এল চাঞ্চল্যকর গাফিলতির অভিযোগ (Jalpaiguri)। এবার প্রসূতির সন্তানের জন্ম তারিখ বদলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে (Jalpaiguri)। এই বিষয়ে এখনো পর্যন্ত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনও মন্তব্য করেনি (Jalpaiguri)। মৃত প্রসূতির পরিবার জানিয়েছে, ন্যায়বিচার পেতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় নেই (Jalpaiguri)।
মৃত সান্ত্বনা রায়ের পরিবার জানিয়েছে, গত ২৯ ডিসেম্বর তিনি সন্তানের জন্ম দেন। কিন্তু হাসপাতাল থেকে দেওয়া ডিসচার্জ সার্টিফিকেটে উল্লেখ রয়েছে যে, তাঁকে ৩ ডিসেম্বরই ছুটি দেওয়া হয়েছে! অর্থাৎ, সদ্যোজাতের প্রকৃত জন্ম তারিখ বদলে দেওয়া হয়েছে। জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ থেকে ইস্যু করা এই নথিতে এমন গুরুতর অসঙ্গতি ধরা পড়তেই নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
পরিবারের দাবি, হাসপাতালের তরফে ইচ্ছাকৃতভাবেই এমন ভুল নথি তৈরি করা হয়েছে, যাতে প্রসূতির মৃত্যুর আসল কারণ আড়াল করা যায়। সন্তান জন্ম দিতে সান্ত্বনা রায় গত ২৯ ডিসেম্বর দুপুরে জলপাইগুড়ি মাদার চাইল্ড হাবে ভর্তি হয়েছিলেন। কিন্তু নথিতে উল্লেখিত তারিখের গরমিল রয়েছে। এমনকি, সদ্যোজাত ছেলে না মেয়ে, ওজন কত— এসব তথ্যও সেখানে স্পষ্টভাবে লেখা নেই। পরিবারের অভিযোগ, এই ভুলত্রুটি পরিকল্পিত এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
পরিবারের অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে ভুলে ভরা ডিসচার্জ সার্টিফিকেটের ইস্যুকে কেন্দ্র করে শুক্রবার জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ চত্বরে মৃতের পরিবারের সঙ্গে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি যুব মোর্চা।
পরিবার জানিয়েছে, তাঁরা আইনি পথে হাঁটতে প্রস্তুত। প্রসূতির মৃত্যুর পাশাপাশি, সদ্যোজাতের জন্ম সংক্রান্ত নথিতে জালিয়াতির বিষয়টি আদালতের সামনে উপস্থাপন করবেন বলেও জানিয়েছেন তাঁরা। হাসপাতালের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি জানিয়েছে স্থানীয় একাধিক সংগঠনও। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নীরবতা এবং নথি জালিয়াতির অভিযোগে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ চত্বরে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনায় প্রশাসনিক হস্তক্ষেপের দাবিও উঠেছে।