শনিবার সকালে কলকাতার ধর্মতলা এলাকায় এক পানশালায় অগ্নিকাণ্ডের (Fire breaks Out) ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল। ঘটনাটি ঘটে হগ স্ট্রিটের (Fire breaks Out) একটি বহুতলে যেখানে একাধিক রেস্তোরাঁ ও সরকারি-বেসরকারি দফতর রয়েছে। আগুন লাগার (Fire breaks Out) খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে দমকলের ছয়টি ইঞ্জিন, যা দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
সকালে ভবনটি থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা সঙ্গে সঙ্গে দমকলে খবর দেন। কলকাতা পুরসভার উলটো দিকের ফুটপাথে অবস্থিত এই বহুতল থেকে আগুনের আতঙ্কে তড়িঘড়ি বেরিয়ে আসেন রেস্তোরাঁ ও অফিসের কর্মীরা। দমকলের তৎপরতায় আগুন ছড়িয়ে পড়ার আগেই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, পানশালার রান্নাঘর থেকেই আগুনের সূত্রপাত। তবে সাত সকালে পানশালার রান্নাঘরে কীভাবে আগুন লাগল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। দমকল বিভাগ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এ ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর নেই। তবে জনবহুল এলাকায় এই অগ্নিকাণ্ডে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। দমকলের পক্ষ থেকে ভবনটির অগ্নি-নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বার বার কলকাতায় আগুন লাগার ঘটনায় একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে হাঙ্গারফোর্ড স্ট্রিটের একটি আবাসনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। মিন্টো পার্কের কাছে ৯ হাঙ্গারফোর্ড স্ট্রিটের একটি বহুতলের ছাদ থেকে গলগল করে কালো ধোঁয়া বেরতে দেখা যায়। অভিজাত ওই বহুতলের ছাদে স্টোররুমে আগুনের লেলিহান শিখাও দেখতে পাওয়া যায়। খবর দেওয়া হয় দমকলে। ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন আবাসিকের বাসিন্দারা। আগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পরেই আবাসিকদের তাঁদের বাড়ি থেকে বের করে আনা হয়। তাঁরাও প্রাণভয়ে কোনওরকমে আবাসন থেকে বেরিয়ে আসেন। জানা যায়, গিজার থেকে শর্ট সার্কিটের ঘটনায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ওই বহুতলের পাশেই রয়েছে নামী বেসরকারি হাসপাতাল এবং বেসরকারি স্কুল। যাতে কোনওভাবেই আগুন ওই স্কুল বা হাসপাতালে ছড়িয়ে না পড়ে, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন নেভানোর কাজ করেন দমকল কর্মীরা। তবে দমকল কর্মীরা দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সমর্থ হন।
