গুন্ডামি করলে শেষ দেখে ছাড়বো। হুঁশিয়ারি বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar)। শুক্রবার নৈহাটিতে তৃণমূল কর্মী সন্তোষ যাদবকে ইঁট দিয়ে থেঁতলে খুন করা হয়েছে। বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে ঘটনার দিন রাতেই নৈহাটির বিধায়ক সনৎ দে, ব্যারাকপুরের সাংসদ পার্থ ভৌমিক এবং নৈহাটি পুরসভার পুরপ্রধান অশোক চ্যাটার্জীর নেতৃত্বে একাধিক বিজেপি কর্মীর বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে লুটপাট করা হয়েছে। দলীয় কার্যালয় সিং ভবনে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন লাগানো হয়েছে। তৃণমূলী অত্যাচারে ভয়ে বহু দলীয় কর্মী ঘড় ছাড়া রয়েছে। সেদিন রাতেই এমনটা অভিযোগ করেছেন ব্যারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিং।
ওই ঘটনার প্রতিবাদে আজ রবিবার সকালে নৈহাটির গৌরীপুরে হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত বিজেপি কর্মী মুকেশ সাউ ও কানাই সাউয়ের বাড়ি পরিদর্শন করতে আসেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। সঙ্গে ছিলেন ব্যারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিং,বিজেপির রাজ্য সভানেত্রী ফাল্গুনী পাত্র,কৃষ্ণেন্দু মুখার্জী সহ বিজেপির ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি মনোজ ব্যানার্জি ও প্রিয়াঙ্গু পান্ডে। পরিদর্শন শেষে সুকান্ত মজুমদার বলেন, ২০২৬ সালে বিধানসভা নির্বাচন। তাঁর আগে বাংলায় তৃণমূল ভয়ের বাতাবরণ সৃষ্টির চেষ্টা চলছে। তাঁর হুঁশিয়ারি, গুন্ডামি করলে এর শেষ দেখে ছাড়ব। গুন্ডাদের কেউ বাঁচাতে পারবে না। তাঁর দাবি, পুলিশ সরিয়ে নিলে সনৎ গুন্ডা এবং সাংসদ বাড়ি থেকে বেরোতে পারবেন না। নতুন পুলিশ কমিশনার নিয়ে তিনি বলেন, ওনার ওপর আস্থা নেই। আগে উনি এখানকার সিপি ছিলেন। তৎকালীন সময়ে অর্জুন সিংকে উনি খুনের চক্রান্ত করেছিলেন। এবার দলের সক্রিয় কর্মী প্রিয়াঙ্গু পান্ডেকে খুনের চক্রান্ত করা হচ্ছে। সেইজন্য অজয় ঠাকুরকে ব্যারাকপুরে আনা হয়েছে।