কলকাতার (Kolkata) নাগেরবাজারে পার্কিং নিয়ে তীব্র বচসা গড়াল রক্তক্ষয়ী হামলায়। এক আইনজীবীর ওপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল এক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে (Kolkata) । সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে চাঞ্চল্যকর সেই মুহূর্ত v। ঘটনায় ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ (Kolkata) ।
সোমবার নাগেরবাজারের হনুমান মন্দির সংলগ্ন অম্বিকা কমপ্লেক্সে সরস্বতী পুজোর আয়োজন চলছিল। মণ্ডপের সামনে দীর্ঘদিন ধরে পার্ক করা একটি গাড়ি সরানো নিয়ে বচসা বাঁধে। অভিযোগ, ওই গাড়িটি সরানোর কথা বলায় প্রথমে গালাগাল, তারপর হাতাহাতি এবং শেষ পর্যন্ত ধারালো অস্ত্রের কোপ।
আক্রান্ত আইনজীবী দেবসুন্দর দড়িফা, যিনি বিজেপির ল সেলের সদস্য, বলেন, “আমরা বহুবার ওই গাড়ি সরানোর অনুরোধ করেছি। গতকালও পুজো চলাকালীন বিষয়টি বলেছিলাম। অভিযুক্ত প্রথমে ঝগড়া করে চলে যান, পরে ফিরে এসে বচসার মাঝেই ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালান।”
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, হলুদ পাঞ্জাবি পরিহিত অভিযুক্ত প্রথমে বাকবিতণ্ডায় জড়ান, এরপরই হঠাৎ ঘুষি, চড়, এবং তারপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে কোপ। হামলায় দেবসুন্দরের থুতনি থেকে গাল পর্যন্ত গভীর ক্ষত হয়।
আক্রান্তের স্ত্রী জানান, “আমরা তখন পুজোর কাজে ব্যস্ত ছিলাম। হঠাৎ দেখি, আমার স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া চলছে। প্রথমে গুরুত্ব দিইনি, পরে দেখি ওঁর মুখ রক্তে ভেসে যাচ্ছে।” বিজেপি মুখপাত্র বিমলশঙ্কর নন্দ বলেন, “গাড়ি সরানো নিয়ে ঝগড়ায় একজন শিক্ষক, যিনি নিজেকে বিপ্লবী বলেন, আইনজীবীর ওপর অস্ত্র চালালেন! ভাবাই যায় না।”
আইনজীবীর অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে নাগেরবাজার থানার পুলিশ। প্রশ্ন উঠছে, একজন শিক্ষক কোথা থেকে ধারালো অস্ত্র পেলেন? পুলিশের অনুমান, তিনি বাড়ি থেকে কোনও ধারালো বস্তু এনে হামলা চালান। ঘটনাটি শিক্ষিত সমাজে হিংসার প্রবণতা এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলছে।