নয়াদিল্লি: সোমবার বিজেপির (BJP) সমন্বয় বৈঠক ছিল উত্তপ্ত। বৈঠকের শুরুতেই দক্ষিণবঙ্গের এক সাংসদ পরবর্তী রাজ্য সভাপতি হিসেবে দিলীপ ঘোষের নাম প্রস্তাব করতেই সুকান্ত মজুমদার ও শুভেন্দু অধিকারী রে রে করে ওঠেন। একে অপরের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়ে যায়। বৈঠকে উপস্থিত এক সাংসদ জানান, এর ফলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এমনকি সুকান্তকে আরও এক বছর রাজ্য সভাপতি হিসেবে রাখার পক্ষে এক সাংসদ সওয়াল করেন।
বৈঠকের একেবারে আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর সাক্ষাৎ জল্পনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব চাইছে, রাজ্য সভাপতির নির্বাচন থেকে আগেই সুকান্ত এবং শুভেন্দু একে অপরের সঙ্গে সমন্বয় বাড়ানোর জন্য বৈঠক করুন। ইতিমধ্যে, সুকান্ত মজুমদার এবং শুভেন্দু অধিকারী পৃথকভাবে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলেছেন। এরই মধ্যে এসব অস্থিরতার মাঝে, বিজেপির রাজ্য সভাপতি পদ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে শোনা যাচ্ছে।
দলের একটি অংশ মনে করছে, ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন মাথায় রেখে সুকান্ত মজুমদারকে রাজ্য সভাপতি হিসেবে রাখা হতে পারে, যেহেতু বর্তমানে দলের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এটি গুরুত্বপূর্ণ। তবে অন্য একটি অংশ বলছে, সুকান্তকে বাদ দিয়ে দিলীপ ঘোষের নাম সামনে আনা হতে পারে, যিনি প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি ছিলেন। সেক্ষেত্রে, সংঘের অনুরোধে দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে রাজ্য বিজেপির স্থিতিশীলতা ফিরে আসতে পারে।
এদিকে, রাজ্য সভাপতি নির্বাচনের আগে দিলীপ ঘোষের রাজনৈতিক সক্রিয়তা নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে। ইতিমধ্যে, ৪৩টি সাংগঠনিক জেলার মধ্যে প্রায় ২৫টি জেলার সভাপতি নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে, ফলে আর কোনো বাধা নেই। এক্ষেত্রে, যে কোনো মুহূর্তে রাজ্য সভাপতি নির্বাচনের ঘোষণা হতে পারে।
এবারের নির্বাচনে শমীক ভট্টাচার্য, দেবশ্রী চৌধুরি এবং অগ্নিমিত্রা পালের নামও আলোচিত হচ্ছে। তবে, গেরুয়া শিবিরের কেন্দ্রীয় নেতারা রাজ্য সভাপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে যে ভারসাম্য বজায় রাখতে চান, তাতে সুকান্ত মজুমদার এবং শুভেন্দু অধিকারী একসঙ্গে দলের নেতৃত্বে থাকতে পারেন, এমন সম্ভাবনা প্রবল।
এই পরিস্থিতিতে, দিলীপ ঘোষের আগামী পদক্ষেপ এবং রাজ্য সভাপতি নির্বাচন ঘিরে বিজেপির ভেতরে চলছে চাপানউতোর।