প্রনব বিশ্বাস, পশ্চিম মেদিনীপুরঃ একুশের বিধানসভা ভোটের আগে বঙ্গ রাজনীতিতে প্রায় সপ্তাহ তিনেক ধরে ধোঁয়াশা জিইয়ে ছিল।এক শুক্রবার রাজ্য মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিয়ে বেরিয়ে এসেছিলেন।তারপর তৃণমূলের সঙ্গে দীর্ঘ দু’দশকের সম্পর্ক ছিন্ন করে ঠিক দু’সপ্তাহ পর শনিবারের বারবেলায় জবনিকার পতন হল, বিজেপিতেই যোগ দিলেন শুভেন্দু অধিকারী।
নিজের গড়ে মেদিনীপুর কলেজিয়েট কলেজ মাঠে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর বিশাল জনসভায় এদিন আনুষ্ঠানিকভাবে দলীয় পতাকা হাতে নিয়ে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখালেন তিনি। মঞ্চে অমিত শাহর পাশেই বসা ছিলেন শুভেন্দু। তাঁকে মঞ্চে বরণ করে নেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী।মঞ্চে বিজেপিতে যোগদানের সুচনা করে দিলেন তাঁরই পুরনো সতীর্থ মুকুল রায়।তারপরই সেই ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণ ঘটে মঞ্চে। শুভেন্দু অধিকারীর হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন অমিত শাহ। আনুষ্ঠানিক ভাবে আজ বিজেপিতে যোগ দিলেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার প্রাথমিক কারণ আত্মসম্মান৷ শুভেন্দু জানিয়েছেন, যেখানে সম্মান নেই সেখানে থাকতে চাই না৷ এই আত্মসম্মান নিয়ে বিজেপিতে কাজ করার প্রস্তাব তখন একজনের কাছ থেকে শুভেন্দু পান৷ তিনি হলেন মুকুল রায়৷আজ মেদিনীপুরে অমিত শাহের সভা থেকে শুভেন্দু জানিয়েছেন, বিজেপিতে যোগদানের প্রস্তাব আগেই পেয়েছিলেন৷ আর সেটা দিয়েছিলেন মুকুল রায়৷ শুভেন্দু বলেছেন, ‘‘যখন কোভিডে আক্রান্ত হই কেউ খোঁজ নেয়নি৷ অমিতজি খোঁজ নিয়েছেন৷ তিনি বড় দাদার মতো৷ মুকুল রায় বলেছিলেন আত্মসম্মান থাকলে তৃণমূলে থাকিস না৷ চলে আয়৷ অর্জুন সিংয়ের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে৷ ও মাথা নত করেনি৷ শুভেন্দু মাতব্বরি করতে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে আসেনি৷ আমি একজন সাধারণ কর্মী৷ পতাকা লাগাতে বললে লাগাব৷ দেওয়াল লিখন করতে বললে করব৷’’