নিউজ ডেস্ক: অপহরণ করে ১০ লক্ষ টাকা মুক্তি চেয়েছিল দুষ্কৃতীরা। কিন্তু তা পাওয়ার আশা ক্ষীণ মনে করে পালঘরের জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে অপহৃত নাবিকের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা। বর্বরোচিত এই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে বছর ২৬-এর তরুণ নাবিক সুরজ কুমার দুবের।
বিবৃতি জারি করে নৌসেনা জানিয়েছে — আইএনএস অগ্রণীর ওই নাবিক ইউনিট থেকে ছুটি নিয়েছিলেন। ছুটিতে থাকাকালীনই পালঘরে ৯০ শতাংশ দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয় তাঁকে। নৌসেনার হাসপাতাল আইএনএইচএস অশ্বিনীতে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এই ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পালঘরের পুলিশ তদন্তে নেমেছে বলেও জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।
তামিলনাড়ুর অগ্রণী ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে পোস্টিং ছিল সুরজের। গত ৩০ জানুয়ারি চেন্নাই বিমানবন্দরের বাইরে থেকে অপহরণ করা হয় তাঁকে। ছুটিতে রাঁচিতে বাড়ির লোকের সঙ্গে দেখা করে ফিরছিলেন ওই তরুণ। ওই দিন সকাল ৯টায় চেন্নাই পৌঁছন সুরজ।
পুলিশ জানিয়েছে, তিনি বিমানবন্দর থেকে বেরোনো মাত্র তিনজন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি তাঁকে জোর করে একটা এসইউভি-তে তোলে। এদের এক জনের হাতে বন্দুক ছিল। সুরজের কাছ থেকে মোবাইলটি কেড়ে নেওয়া হয়। মুক্তিপণ হিসাবে দাবি করা হয় ১০ লক্ষ টাকা। তিন দিন তাঁকে চেন্নাইতেই রাখা হয়। তারপরে মুক্তিপণ মিলবে না মনে করে দেড় হাজার কিলোমিটার দূরে পালঘরের ঘোলওয়াড় এলাকার জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে তাঁর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জেনেছে।
গ্রামবাসীরা দগ্ধ অবস্থায় সুরজকে দেখেন। তাঁরাই খবর দেন পুলিশে। প্রথমে ওই তরুণকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় মুম্বইয়ে নৌসেনার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় তাঁকে।
এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। বিরোধী বিধায়ক, বিজেপির রাম কদমের টুইট — পালঘরে আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর মানুষরা নিরাপদ নন। এমনকী সাধুরাও নিরাপদ নন। গত এপ্রিলে দু’জন সাধু ও তাঁদের চালকের উপর হামলার প্রসঙ্গে ওই কথা লেখেন কদম। ফের সিবিআই তদন্তের দাবি জানান তিনি। মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের অফিস এবং রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখকে ট্যাগ করে ‘কবে বিচার মিলবে’ সে প্রশ্নও তুলেছেন বিধায়ক।