খবর এইসময়, নিউজ ডেস্কঃ যৌনতা এখন খুবই সাধারন একটি বিষয়। প্রাশ্চাত্য দেশের সাথে সাথে আমরাও এখন যৌনতা নিয়ে কোন হেজিটেশন রাখিনা। কিন্তু আজ থেকে বহু বছর আগে যৌনতা’ মানেই ছিল অশ্লীলতা। কিছু বছর আগেও যৌনতা’ এত খোলামেলা ভাবে দেখানো হতো না সকলের সামনে।
যদি কোনো নির্মাতা খোলামেলাভাবেই যৌনতা সকলের সামনে নিয়ে আসতেন তাহলে তাকে ব্যান করে দেওয়া হতো। আজ থেকে ৮৮ বছর আগে এরকম একটি সিনেমাকে অশ্লীলতার দায়ে ব্যান করে দেওয়া হয়েছিল। এ সিনেমায় প্রথম দেখানো হয়েছিল নগ্ন দৃশ্য এবং যৌনতার দৃশ্য।
১৯৩৩ সালে মুক্তি পেয়েছিল ইরোটিক ড্রামা এক্সটাসি। ছবির পরিচালনা করেছিলেন চেক চিত্রনির্মাতা Gustav Machatý। অস্ট্রিয়ান অভিনেত্রী হেডি লামার এই ছবিতে অভিনয় করেছিলেন ইভার চরিত্রে। ইভা যুবতী বধু, তার বিয়ে হয়েছে তার বয়সের থেকে অনেক বড় একজন পুরুষের সঙ্গে। ইভার জীবনে প্রেম এবং যৌনতার সেইভাবে স্থান ছিল না।
সিনেমার একটি দৃশ্যতে অভিনেত্রীকে নগ্ন হয়ে জলে সাঁতার কাটতে দেখা গিয়েছিল। ছবিতে দেখানো হয়, একটি ঘোড়া তার পোশাক নিয়ে পালিয়ে যায় এবং তিনি নগ্ন অবস্থায় ঘোড়াকে পিছু ধাওয়া করেন। এক যুবক ঘোড়াটিকে থামায় এবং গাছের আড়ালে লুকিয়ে পড়া অভিনেত্রীকে তার পোশাক ফেরত দিয়ে দেন। দুজনের মধ্যে কথাবার্তা হয় এবং ইভার ওই যুবককে ভালো লেগে যায়। ওই যুবককে ইভার সেক্সচুয়ালি সিডিউস করেন এবং তাদের মধ্যে একটি যৌন সম্পর্ক তৈরি হয়। প্রায় দেড় মিনিট ধরে এই দৃশ্য দেখানো হয় সিনেমাতে।
সেই সময় এমন কোন সিনেমা সিনেমা জগতে দেখানো হয়নি যেখানে কোনো নারী সম্পূর্ণ নগ্ন হয়েছিলেন। এছাড়াও প্রায় দেড় মিনিট ধরে যৌন দৃশ্য দেখানো হয়েছিল এই সিনেমাতে। ফলে এই সিনেমাটি ব্যান করে দেওয়া হয়।
১৯৩৬ সালে এই ছবির রি এডিটেড আমেরিকায় মুক্তি পায় কিন্তু তখনো বেশকিছু রাজ্যে এই সিনেমাটি কে ব্যান করে দেওয়া হয়। ১৯৪০ শালী অবশেষে এই ছবিটি ছাড়পত্র পায় ডিস্ট্রিবিউটের জন্য।
ইভার চরিত্রে যিনি অভিনয় করেছেন, সেই হেরিলাম আর বহু দিন বহু ছবির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাকে নিয়ে একটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয় ১৯৩৮ সালে যার নাম Famed through Europe and America as Ecstasy Girl. প্রবন্ধে অভিনেত্রীর একটি মন্তব্যে শোনা যায়, মানুষ তার দিকে অদ্ভুত ভাবে তাকাতেই ছবি মুক্তির পর যেন চিড়িয়াখানায় নতুন জানোয়ার দেখছেন।
ছবি – গেটি ইমেজ