খবর এইসময় ডেস্ক: পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেপ্তারির পর শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির শিকড়ে পৌঁছতে জোরকদমে তল্লাশি চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তদন্তে উঠে আসছে একের পর এক তথ্য। নাম জড়াচ্ছে প্রভাবশালীদের। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় জেল হেফাজতে রয়েছেন। একইসঙ্গে প্রাক্তন উপদেষ্টা কমিটির দুই সদস্য শান্তিপ্রসাদ সিনহা ও অশোক সাহাদের গ্রেফতার করেছে সিবিআই। বুধবার গ্রেফতার করা হয়েছে প্রদীপ সিং নামে এক মিডলম্যানকে।
অন্যদিকে,শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) মামলায় বুধবার শিলিগুড়িতে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্যের বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। ১০-১২ জনের এক তদন্তকারী দল উপাচার্যের কোয়ার্টার এবং দপ্তরে তল্লাশি চালায়। টানা ৯ ঘণ্টা তাঁকে জেরা করা হয় বলে খবর। এদিকে বুধবার সকাল ৮ টা নাগাদ তাঁর কলকাতার বাঁশদ্রোণীর ফ্ল্যাটে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। কিন্তু সেই ফ্ল্যাটে কেউ ছিলেন না।
সেই কারণে ফ্ল্যাটটি সিল করে নোটিস সাঁটিয়ে দেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। তাঁরা মনে করছেন নিয়োগ সংক্রান্ত বহু নথি, হার্ড ডিস্ক, তথ্য সেই ফ্ল্যাটে থাকতে পারে। তাই ওই ফ্ল্যাটটিতে পুলিশকে সামনে রেখে আবারও তল্লাশি চালানো হতে পারে এমনটাই অনুমান।
আর সেই কারণেই আজ তড়িঘড়ি কলকাতা পৌঁছেই বালিগঞ্জের বাড়িতে গিয়েছিলেন এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্য ( Subiresh Bhattacharyya)। দুপুরে পৌঁছন বাঁশদ্রোণীর ফ্ল্যাটে। সেখান থেকেই মুখ খুললেন এসএসসি দুর্নীতি ইস্যুতে।
সিবিআইয়ের উপর ভরসা রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “আমার আমলে কোনও দুর্নীতি হয়নি।” একটা প্রশ্ন উঠছে স্ক্যান সিগনেচার নিয়ে। হাজার হাজার মার্কশিট ওই পদ্ধতিতে তৈরি হয়। কেউ সেটা পরবর্তীতে ব্যবহার করলে কে কী করতে পারে? পদ্ধতিগত ত্রুটি হতে পারে। কিন্তু আমার আমলে কোনও দুর্নীতি হয়নি।”
উল্লেখ্য, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্য ২০১৪-২০১৮ সাল পর্যন্ত ৪ বছর স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে বিচারপতি রঞ্জিত বাগ কমিটির রিপোর্টে নাম রয়েছে তাঁর। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ৩৮১টি ভুয়ো নিয়োগ হয়েছে। তার মধ্যে ২২২ জন পরীক্ষাই দেয়নি। এনিয়ে বিচারবিভাগীয় তদন্ত চলছিল। তাঁর উপর নজর ছিল সিবিআইয়ের।