পল্লব হাজরা, বরাহনগর: বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব একেবারে দরজায় কড়া নাড়ছে। শিল্পীদের মধ্যে ব্যাস্ততাও কার্যত তুঙ্গে। কলকাতার পুজো মণ্ডপ গুলির সাথে টেক্কা দিতে কোমড় বেঁধে নেমেছে উত্তরশহরতলী পুজো মণ্ডপ গুলি। তারই প্রমাণ মিলল বরাহনগর ন-পাড়া দাদাভাই সংঘে। ১৯তম বর্ষে ন-পাড়া দাদাভাই সংঘের অন্দরে দর্শনার্থীরা উপহার পেতে চলেছেন সিলিকনের তৈরি দুর্গাপ্রতিমার । যা পশ্চিমবাংলায় প্রথম এমনটা দাবি উদ্যোক্তাদের। এবছর তাদের ভাবনা ‘পরিচয়’। যা মূলত সমাজের বুকে প্রতিনিয়ত যৌনকর্মীদের বেঁচে থাকার লড়াই সেটি তুলে ধরা হয়েছে।
ন-পাড়া দাদাভাই সংঘের অন্যতম উদ্যোক্তা অঞ্জন পাল জানান এবছর থিমের মধ্যে দিয়ে যৌনকর্মীদের সমাজের প্রতিকূলতার চিত্র ফুটে উঠবে। যৌনকর্মীর আইনি সুরক্ষা থাকলেও সমাজের বুকে তেমন প্রতিফলিত হতে দেখা যায়না। প্রকৃতপক্ষে সেই সকল মানুষ যে সমাজের অংশ এবং তারা যেন সসম্মানে উত্তীর্ণ হতে পারেন সেই ভাবনা নিয়েই এই থিম।
মণ্ডপসজ্জার সাথে সাথে প্রতিমায় রয়েছে অভিনত্বের ছোঁয়া। সিলিকনের তৈরি দুর্গপ্রতিমা যা এবছর দর্শনার্থীদের কাছে বাড়তি চমক।মণ্ডপে প্রবেশ করার আগের মুহূর্তে দর্শনার্থীদের চোখে ধরা পড়বে প্রায় দুই কিলোমিটার পথ জুড়ে আলোর রোশনাই ।
শিল্পী সন্দীপ মুখার্জী জানান মণ্ডপে প্রবেশ থেকে শেষ পর্যন্ত রয়েছে যৌনকর্মীদের জীবনের কথা। সমাজে তারা এমনই দমবন্ধ পরিবেশে অবস্থান করেন যেখানে শিক্ষার আলো সঠিক ভাবে পৌঁছায় না। তাঁদের স্বপ্ন পরিপূরণের ইচ্ছা থেকে বেচে থাকার লড়াই সবটাই দেখা মিলবে মণ্ডপে। পরিবেশ বান্ধব সামগ্রী দিয়ে তৈরি হয়েছে মণ্ডপ।
রাজ্যে প্রথম সিলিকনের দুর্গা প্রতিমার খবর ছড়িয়ে পড়তে দর্শকদের মনে সৃষ্টি হয়েছে বাড়তি উন্মাদনা। আগামী ২৬শে সেপ্টেম্বর সত্তরের দশকের নায়ক শত্রুঘ্ন সিনহার হাত ধরে শুভ উদ্বোধন হতে চলেছে ন-পাড়া দাদাভাই সংঘের পুজো মণ্ডপ।