খবরএইসময়, ওয়েব ডেস্ক: লোকসভা ভোট আর ৪০০ দিনের মত বাকি। এখন থেকেই দেশের সব মানুষদের কাছে পৌঁছনোর জন্য বিজেপি কর্মীদের নির্দেশ দিলেন মোদী।
ভারতীয় জনতা পার্টির (BJP) জাতীয় কার্যনির্বাহী সভায়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মঙ্গলবার দলের নেতাদের ভোটের আশা না করে মুসলিম সহ সমস্ত সংখ্যালঘুদের কাছে পৌঁছানোর আহ্বান জানিয়েছেন। মঙ্গলবার দেশের রাজধানীতে বিজেপির দুদিনের জাতীয় কার্যনির্বাহী সভায় তার মূল্যবান ভাষণে, প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, আগামী 2024 সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে দলকে শক্তিশালী করা দরকার। ‘এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত’-এর রেজোলিউশনের অধীনে, সমস্ত রাজ্যের একে অপরের সাথে সহযোগিতা করা উচিত এবং একে অপরের ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া উচিত। প্রধানমন্ত্রী মোদি সমস্ত বিজেপি ফ্রন্টকে সীমান্ত এলাকার গ্রামের সাথে আরও সংযোগ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, উচ্চাকাঙ্ক্ষী জেলার উন্নয়নে বিজেপি কর্মীদের ভূমিকা পালন করা উচিত।
Reach out to Muslims without expecting votes in return: PM Modi to BJP workers
Read @ANI Story | https://t.co/Q40lTqISLl#PMModi #BJP #BJPNationalExecutiveMeeting pic.twitter.com/3Pr5YOrCfn
— ANI Digital (@ani_digital) January 17, 2023
সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী মোদী সব ধর্মের মানুষের কাছে পৌঁছানোর ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি তাঁর দলের সদস্যদের বিশ্ববিদ্যালয় এবং গীর্জা পরিদর্শন করতে বলেন। এদিন বিজেপি কর্মীদের প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছেন, বিনিময়ে ভোটের আশা না করে পাসমান্ডা মুসলিম, বোহরা সম্প্রদায়, মুসলিম পেশাদার এবং শিক্ষিত মুসলমানদের সাথেও দেখা করার আহ্বান জানিয়েছেন।”
সূত্র মারফৎ আরও জানা গিয়েছে যে, প্রধানমন্ত্রী মোদি বিজেপি নেতাদের নির্দেশ দিয়েছেন যে কোনও সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে কোনওরকম কু কথা-আক্রমণ করা যাবে না। একটা সময় যোগী আদিত্যনাথ থেকে প্রজ্ঞা ঠাকুর,নুপুর শর্মা সহ বিজেপির নেতা, মন্ত্রীরা প্রকাশ্যে বারবার মুসলিম বিরোধী-বিদ্বেষী মন্তব্য করেছেন। তাতে হয়তো দলের ভাবমূর্তির ক্ষতি হয়েছে বলেই মোদী মনে করেন। যদিও সাম্প্রতিক অতীতে ঘুরিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীও মুসলিমদের আক্রমণ করেছেন। যখন তিনি শাহিনবাগ প্রতিবাদীর নিয়ে ঘুরিয়ে বলেছিলেন, পোশাক দেখেই বোঝা যায়, ওরা কারা।
মঙ্গলবার বিজেপির জাতীয় কার্যনির্বাহী সভার প্রথাগত সমাপ্তি বক্তব্যের সময়, প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছিলেন যে এটি ভারতের জন্য সেরা সময় এবং দেশের উন্নয়নে অবদান রাখার জন্য প্রচেষ্টা দ্বিগুণ করা উচিত। তিনি আরও বলেন, ‘অমৃত কাল’কে ‘কর্তব্য কাল’-এ রূপান্তরিত করা উচিত কারণ তবেই দেশ দ্রুত অগ্রসর হতে পারে।
এদিন পরিবেশ সুরক্ষা এবং গ্রহকে বাঁচানোর মন্ত্রও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। জাতীয় কার্যনির্বাহী সভার সমাপ্তির দিনে, বিজেপি একটি রাজনৈতিক রেজোলিউশন, সামাজিক ও অর্থনৈতিক রেজোলিউশন এবং ভারতের G20 প্রেসিডেন্সির উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে বিদেশী নীতির রেজোলিউশন গ্রহণ করেছে।
তবে বলাই বাহুল্য যে, মোদীর সাফ কথা, ধর্ম নয়, উন্নয়নকে হাতিয়ার করতে ২০২৪ লোকসভা ভোটে জিতে আসতে হবে। যদিও এটা বাস্তবে কতটা সম্ভব তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলের একটা অংশ প্রশ্ন তুলছে। গুজরাটে অনায়াসে জিতলেও হিমাচলপ্রদেশ হার, বিহারে নীতীশ কুমারকে হারিয়ে ক্ষমতা হাতছাড়ার মত বিষয় ২০২৪ লোকসভা ভোটে বিজেপিকে চিন্তায় রাখছে। তার ওপর আবার লোকসভার আগে তেলঙ্গনা, কর্ণাটকের মত মুসলিম ভোটাররা বড় ফ্যাক্টারের মত নির্বাচন আছে। এমন সময় মুসলিম তথা সংখ্যালঘু ভোটকে খুবই গুরুত্ব দিচ্ছে বিজেপি।