খবরএইসময় ডেস্কঃ খাতায় কলমে পদ্ম প্রতিকে জয়ী হয়ে বিধায়ক পদ পেয়েছিলেন মুকুল রায়। পরবর্তী সময়ে তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে উত্তরীয় গলায় পরে নতুন জল্পনার জন্ম দেন দুদে এই রাজনীতিবিদ। ঘটনায় মুকুল কি জোড়া ফুলে না পদ্মফুলের এই প্রশ্ন উঠতে থাকে খোদ দলীয় অন্দরে! গেরুয়া শিবির দাবি জানাতে থাকে মুকুল রায় তৃণমূল কংগ্রেস যোগ দিয়েছে। বিতর্কের মধ্যেই কৃষ্ণনগর উত্তরের টিকিটে জয়ী মুকুল রায় বিরোধী বিধায়ক হওয়ায় পান পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির পদ।
মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ বাতিলে বারবার সুর চড়িয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। গত জুন মাসে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় মুকুল রায়ের বিধায়কপদ বাতিলের আবেদন খারিজ করে দেন। তিনি স্পষ্টতই জানান তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কোন তথ্য প্রমাণ নেই। মুকুল রায় এখনও বিজেপিতেই রয়েছেন।
এবার বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে সোমবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুর আইনজীবী হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে আর্জি জানান। পরে বিচারপতি মামলাটি পাঠান একক বেঞ্চে। আর জানানো হয়, সিঙ্গল বেঞ্চ থেকে মামলাটি ‘রিলিজ’ হলে ডিভিশন বেঞ্চ শুনবে। একসময় মামলাটি ভারতীয় শীর্ষ আদালতে গেলও মামলাটি কলকাতা হাইকোর্টে পাঠিয়ে দেন সুপ্রিমকোর্ট।
মামলার পরবর্তী গতিপ্রকৃতি এখন ঠিক কোন দিকে যায় সেই দিকে চোখ রেখেছে গেরুয়া শিবির থেকে রাজনৈতিক মহল।