দিল্লি পুলিশের ডিসিপি জানিয়েছেন, গ্রেফতারকৃত অভিযুক্ত রশ্মিকা মান্দান্না (Rashmika Mandanna)- র ভক্ত। ভিডিওটি বানানোর উদ্দেশ্য ছিল কোন প্রকার ক্ষতি সাধন করা নয়। তিনি শুধু অর্থ উপার্জন করতে এবং ভিডিওর মাধ্যমে ফলোয়ার বাড়াতে চেয়েছিলেন। অভিযুক্তকে আদালতে পেশ করবে দিল্লি পুলিশ।
National News Desk: বলিউড অভিনেত্রী রশ্মিকা মান্দান্না(Rashmika Mandanna)- র ডিপফেক ভিডিও তৈরিকারী অভিযুক্ত বছর ২৪ এর ইমানি নবীনকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ। অন্ধ্রপ্রদেশের গুন্টুর থেকে নবীনকে গ্রেফতার করা হয়। গত ১০ নভেম্বর, ইন্টেলিজেন্স ফিউশন অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক অপারেশনস (IFSO) ইউনিটে ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা ৪৬৫ (জালিয়াতির জন্য শাস্তি) এবং৪৬৯ (সুনাম নষ্ট করার উদ্দেশ্যে জালিয়াতি) এবং তথ্য প্রযুক্তি আইনের ধারা ৬৬ সি এবং ৬৬ ই- এর অধীনে একটি এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছিল দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেলে। দিল্লি মহিলা কমিশনেও অভিযোগ জানিয়ে দিল্লি পুলিশ এই বিষয়ে একটি মামলা দায়ের করেছিল। মামলা দায়েরের পর পুলিশ ডিপফেক ভিডিওটি তদন্ত করে অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে।
পুলিসের হাতে ধরা পড়ার পরে, অভিযুক্ত ইমানি নবীনের কাছ থেকে আরও বেশ কিছু তথ্য সামনে এসেছে। নবীন জানিয়েছেন কেন তিনি রশ্মিকা মান্দান্নার ওই ডিপফেক ভিডিওটি করেছিলেন এবং এর পিছনে তাঁর উদ্দেশ্য কী ছিল।
৫০০ টিরও বেশি সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট অনুসন্ধান করা হয়েছে
দিল্লি পুলিশের ডিসিপি হেমন্ত তিওয়ারি জানিয়েছেন যে, মামলার প্রযুক্তিগত তদন্তে পুলিশকে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে। মামলা নথিভুক্ত হওয়ার পরে, তদন্তের সময় দিল্লি পুলিশ ৫০০ টিরও বেশি সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট অনুসন্ধান করেছিল। এর পরে, পুলিশের দলটি অনেক রাজ্যও পরিদর্শন করে এবং অবশেষে অভিযুক্তকে অন্ধ্র প্রদেশের গুন্টুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযুক্তরা রশ্মিকা ফ্যান পেজ এবং সাউথ ২ এবং সেলিব্রিটি নামে ফ্যান পেজ চালাত। পেজটির ফলোয়ার ছিল ৯০ হাজার, কিন্তু রশ্মিকা মান্দান্নার(Rashmika Mandanna) ভিডিও আপলোড হওয়ার পর ফলোয়ারের সংখ্যা ১ লাখ ছাড়িয়েছে।
অভিযুক্ত তার পেজ মানিটাইজেশান করতে চেয়েছিলেন
পুলিশ জানিয়েছে যে নবীন রশ্মিকার একটি ডিপফেক ভিডিও আপলোড করে তার পেজটি মানিটাইজেশান করতে চেয়েছিলেন যাতে তিনি আরও অর্থ উপার্জন করতে পারেন এবং ফলোয়ার বাড়াতে পারেন। তাই তিনি ইউটিউব থেকে এডিটিং কোর্স শিখে একটি ডিপফেক তৈরি করেন। ভিডিওটি প্রস্তুত করার পরে, এটি ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩-এ ইনস্টাগ্রামে আপলোড করা হয়েছিল।
ফ্যান পেজটিও মুছে ফেলা হয়েছে
ভিডিওটি আপলোড হওয়ার পরে, এটি ভাইরাল হওয়ার সাথে সাথে এবং বলিউডের বড় তারকারা এটি টুইট করে পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছিলেন, নবীন ভয় পেয়েছিলেন এবং ভিডিওটি মুছে ফেলেন। এমনকি ফ্যান পেজটিও মুছে ফেলা হয়েছে। অভিযুক্ত ইঞ্জিনিয়ারিং পড়েছেন, এর জন্য তিনি ২০২১ সালে ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশনে বি.টেক করেছেন বলে জানা গিয়েছে।