কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের জারি করা একটি বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছিল যে সিমি(Simi Extends Ban) এখনও তার অবৈধ কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে এবং সংগঠনটি পলাতক তার কর্মীদের পুনর্গঠন করতে ব্যস্ত।
National Desk: কেন্দ্রের ভারতীয় জনতা পার্টি সরকার দেশে ক্রমাগত সন্ত্রাসবাদের প্রচার এবং শান্তি ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিঘ্নিত করার অভিযোগে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী স্টুডেন্টস ইসলামিক মুভমেন্ট অফ ইন্ডিয়া (Simi Extends Ban)এর উপর নিষেধাজ্ঞা আরো ৫ বছরের জন্য বাড়িয়েছে। কেন্দ্রের অটল বিহারী বাজপেয়ী সরকার ২০০১ সাল থেকে সিমিকে নিষিদ্ধ করেছিল এবং তারপর থেকে প্রতিবারই নিষেধাজ্ঞা বাড়ানো হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সোমবার সোশ্যাল মিডিয়া ‘এক্স’-এ একটি পোস্টে বলেছেন যে সন্ত্রাসবাদের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জিরো টলারেন্সের দৃষ্টিভঙ্গি জোরদার করে,সিমিকে (Simi Extends Ban)বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনের (ইউএপিএ) অধীনে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এর অধীনে এটি করা হয়েছে। আগামী ৫ বছরের জন্য ‘আইনবিরোধী সংগঠন’ ঘোষণা করেছে।
বাজপেয়ী সরকার নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল
২০০১ সালে বাজপেয়ী সরকার প্রথমবারের মতো সিমিকে (Simi Extends Ban)নিষিদ্ধ করেছিল। এরপর থেকে প্রতি ৫ বছর অন্তর এই নিষেধাজ্ঞা বাড়ানো হচ্ছে। সিমির উপর সর্বশেষ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল ৩১ জানুয়ারী, ২০১৯ এ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, “সিমি ভারতের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা এবং অখণ্ডতাকে হুমকির জন্য সন্ত্রাসবাদ, শান্তি ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিঘ্নিত করার জন্য জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে।”
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের জারি করা একটি বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছিল যে সিমি (Simi Extends Ban) এখনও তার অবৈধ কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে এবং সংগঠনটি পলাতক তার কর্মীদের পুনর্গঠন করতে ব্যস্ত। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এই সংগঠনটি সাম্প্রদায়িকতা, বিভেদ সৃষ্টি, দেশবিরোধী মনোভাব উস্কে দেওয়া, চরমপন্থাকে মদদ দেওয়া এবং দেশের অখণ্ডতা ও নিরাপত্তা ক্ষুণ্ন করার পাশাপাশি অসাম্প্রদায়িক কাঠামোকে ক্ষতিগ্রস্ত করার মতো ক্ষতিকর কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে।
১৯৭৭ সালের এপ্রিলে উত্তরপ্রদেশের আলীগড়ে সন্ত্রাসী সংগঠন সিমি গঠিত হয়। সংগঠনটির কার্যক্রম শুরু থেকেই খবরে রয়েছে। ভারত সরকার ২০০১ সালে এটিকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন বলে নিষিদ্ধ করেছিল।