Physical Assult : সিটি স্ক্যান করানোর নামে নাবালিকার শ্লীলতাহানি

সরকারি হাসপাতালে ল্যাবের মধ্যে নাবালিকার শ্লীলতাহানির(Physical Assult) অভিযোগ। শনিবার রাতে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটে হাওড়া জেলা হাসপাতালে। ঘটনায় ইতিমধ্যেই এক ল্যাব টেকনিশিয়ানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সূত্রের খবর, খবর ২৮ তারিখ বুকে যন্ত্রণা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল ১২ বছরের ওই কিশোরী। শনিবার রাতে তাঁকে সিটি স্ক্যান করার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। অভিযোগ, ল্যাবের মধ্যে এক টেকনিশিয়ান তার শ্লীলতাহানি করে। পরিবারকে কিছু জানাতে নিষেধ করে হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ।

যদিও শেষ পর্যন্ত ল্যাব থেকে বেরিয়ে পরিবারের সদস্যদের গোটা ঘটনার কথা খুলে বলে ওই কিশোরী। শোরগোল পড়ে যায় হাসপাতাল চত্বরে। দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে হাওড়া থানার পুলিশ অভিযুক্ত ওই টেকনিশিয়ানকে গ্রেফতার পর। প্রশ্নের মুখে হাসপাতালের রোগীদের নিরাপত্তা। যদিও চাপানউতোর মধ্যেই আবার গোটা হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হচ্ছে বলেও খবর।

নির্যাতিতার পরিবারের এক সদস্য বলছেন, “মেয়েটা প্রথমে চেঁচাচ্ছিল। আমরা তো কেউ ভিতরে যেতে পারিনি। বাইরে থেকে ভাবছিলাম ভয়ে চেঁচাচ্ছে। তারপর ল্যাব থেকে রীতিমতো কাঁপতে কাঁপতে বেরিয়ে আসে। বলে ওকে খারাপভাবে গায়ে হাত দিয়েছে। ঠোঁটে কামড় দিয়েছে। আর এ কথা গুলো বাইরে বললে ইঞ্জেকশন দিয়ে দেওয়ারও ভয় দেখায়।” প্রসঙ্গত, আরজি কর আবহে ফুঁসছে গোটা দেশ। দিন যত যাচ্ছে ততই বাড়ছে রহস্যের জট। দোষীর কঠোর শাস্তির দাবি উঠেছে নানা মহলে। কিন্তু, তারপরেও রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে বিগত কয়েকদিনে লাগাতার শ্লীলতাহানি, ধর্ষণের মতো ঘটনার অভিযোগ আসায় চাপ বেড়েছে প্রশাসনের উপরেও।